ঢাকা, সোমবার, ৯ ভাদ্র ১৪৩২, ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

স্টপ অনলাইন প্রাইভেসি অ্যাক্ট নিয়ে বিতর্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৪৪, নভেম্বর ১৭, ২০১১
স্টপ অনলাইন প্রাইভেসি অ্যাক্ট নিয়ে বিতর্ক

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে উত্থাপিত স্টপ অনলাইন প্রাইভেসি অ্যাক্টের (সোপা) বিরোধিতা করেছে উইকিপিডিয়া, গুগল, টুইটার, ইবেসহ বৃহৎ সব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। মার্কিন কংগ্রেসে আইনটি পাস হলে বিশ্বজুড়ে ওয়েবসাইটগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে যুক্তরাষ্ট্র।

আর এ কারণেই বিরোধিতার প্রশ্নটি এসেছে।
 
বুধবার এই ইন্টারনেট জায়ান্টরা দাবি করে জানায়, স্টপ অনলাইন প্রাইভেসি অ্যাক্ট চুড়ান্ত হলে এটা হবে একটা ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাকলিস্ট বিল’। যার ফলে অনেকেই চাকরি হারাবেন এবং বিশ্বের সব ওয়েবসাইটের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে।

মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাবিত ওই বিলের বিরোধিতা করছেন ‌উইকিপিডিয়া, ই-বে, গুগল, টুইটারসহ অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলো।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনলাইনের ওপর একছত্র আধিপত্য বিস্তার করবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অভ্যন্তরে ও বাইরের যেকোনো ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তুসহ সামগ্রিক বিষয় নিয়েই তখন নাক গলাতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী মাসে এই বিলের জন্য ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।

কপিরাইট সংক্রান্ত রেজিস্টার মারিয়া পাল্লানতে কমিটিকে বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, ইন্টারনেট জুড়ে অনেক খারাপ লোক কাজ করছে। যাদের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বই, সফটওয়্যার, চলচ্চিত্র এবং গান শিল্প এগুতে পারছে না। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের লেখকরা, প্রকাশকরা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতারা অনলাইনে বিনিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছেন অনলাইন চোরের কারণে।

তিনি আরও বলেন, ‘উল্লেখযোগ্য সব সদস্যকেই যেমন, সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান, সার্চ ইঞ্জিন প্রতিষ্ঠান, বিল সংগ্রাহক এবং বিজ্ঞাপন দাতাদের কপিরাইটের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। ’

এদিকে এক ব্লগপোস্টে গুগল জানায়, ‘এই বিলের উদ্দেশ্যকে আমরা সমর্থন জানাই। কিন্তু একই সঙ্গে আমরা উদ্বিগ্নও বটে। কারণ আজ যা লেখা হচ্ছে, তার কারণে চাকরি, মুক্ত আলোচনা এবং লেখালিখি যে হুমকির মুখে পড়বে না তা কে বলতে পারে। ’

লবিং প্রতিষ্ঠান ফাইট ফর দ্য ফিউচারের সহকারী প্রতিষ্ঠাতা হোমস উইলসন বলেন, ‘আজ যদি ফেইসবুক, ইউটিউবসহ অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলোতে কপিরাইট বর্হিভূত জিনিস পাওয়া যায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ওই ওয়েবসাইটগুলোকে বন্ধ করে দেবে। কিন্তু তাদের এই অযাচিত ক্ষমতা প্রদর্শণের কারণে যে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে এবং চরম অর্থ সংকটে পড়বে অনেক প্রতিষ্ঠান তার দায়ভার কে নেবে। ’
 
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকেই প্রতিদিন অনলাইনে বসেন কাজ করার জন্য। প্রত্যেকেই অনুভব করেন অন্তত ইন্টারনেটে সে কতটা স্বাধীন। এই স্বাধীনতা নষ্ট করার অধিকার কারও নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।