ওয়াশিংটন: কথায় আছে চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। চোরের কাছে অর্থই সবচেয়ে বড় সত্য।
আর যে সে জায়গা থেকে চুরি হয়নি তলোয়ারটি। খোদ লিংকনের সমাধিস্থল থেকেই চুরি হয়েছে তিন ফুট লম্বা তলোয়ারটি। ইলিনসের স্প্রিংফিল্ডের অক রিগ সিমেট্রি থেকে চুরি হয়ে যায় এটি।
তবে মজার ব্যাপার হলো, চুরি হয়ে যাওয়ার বেশ কয়েকদিন বাদে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে চুরির ঘটনাটি। হাতল ভেঙ্গে তলোয়ারটি নিয়ে গেছে চোর।
ইলিনসের ইতিহাস সংরক্ষণ সংস্থার মুখপাত্র ডেভ ব্লাঞ্চেত বলেন, ‘আমাদের মাথায় আসছে না, কে এই তলোয়ার চুরি করলো। আর এই তলোয়ার চুরি করার কথাই বা কেন তার মাথায় আসলো। অনেকটা দুর উঠে ওই তলোয়ারটি আনতে হয়েছে চোরকে। ’
আসল তলোয়াটি ছিল মূলত ব্রোঞ্জের। তৎকালীন সময়ে বেশিরভাগ ব্রোঞ্জই পাওয়া গিয়েছিল গৃহযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের কামান গলিয়ে।
লিংকনের ওই ব্রোঞ্জের তলোয়ারটি ক্ষয় হয়ে যাওয়ার কারণে পরবর্তীতে ব্রোঞ্জের তলোয়ারের জায়গায় তামা নির্মিত ওই তলোয়ারটি রাখা হয়।
ব্লাঞ্চেত আরও বলেন, ‘খুব সম্ভব সিমেট্রি থেকে দর্শনার্থীরা চলে যাওয়ার পরই চোর ওই তলোয়ারটি চুরি করেছে। তাকে দেয়াল বেয়ে ব্যালকনির ওপর দিয়ে যেতে হয়েছে চুরি করা জন্য। তবে সিমেট্রির একজন শ্রমিক তাকে দেখতে পেয়েছে বলে জানা গেছে। ’
১৯৮৭ সালের দিকে একদল বর্ণবাদী লিংকনের সমাধির গায়ে রং করে দিয়েছিল। আর এই কারণে তৎকালীন সময়ে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল।
সমাধিস্থলটির সুরক্ষায় আগে রাত্রিবেলায় প্রহরার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু বাজেট ঘাটতির কারণে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১১