জাকার্তা: দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের পরবর্তী সভাপতি হওয়ার পথে মিয়ানমারের সামনে আর বাধা রইল না। আগামী ২০১৪ সালের জন্য সংগঠনের সর্বোচ্চ আসনে বসাতে একমত হয়েছে এর সদস্য দেশগুলো।
মিয়ানমান সরকার সাম্প্রতিক সময়ে নেওয়া বেশ কিছু সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রেক্ষাপটে এই ঘোষণা দেওয়া হল।
ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত দশ জাতি বিশিষ্ট এই ফোরামের শীর্ষ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এ ঘোষণা প্রসঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্তি নাটালেগাওয়া বলেন, সিদ্ধান্তটি আসিয়ানের সদস্য দেশগুলোর সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সদস্য দেশগুলো বিশ্বাস করে মিয়ানমার গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ন অগ্রগতি সাধন করেছে।
দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির রাজনৈতিক দল এনএলডি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় আবার যোগ দেওয়ার প্রাক্কালে আসিয়ানের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত ঘোষিত হল।
আসিয়ানের নেতৃত্ব এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রতি বছর পালাক্রমে পরিবর্তিত হয়। কিন্তু খারাপ মানবাধিকার পরিস্থিতির কারণে মিয়ানমার এতদিন এর সভাপতি হতে পারেনি।
তবে অনেকে আসিয়ানের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, মিয়ানমারকে এই স্বীকৃতি দেওয়া অনেকটা তাড়াতাড়ি হয়ে গেল কারণ, দেশটির কারাগারে এখনও হাজারখানেক রাজনৈতিক বন্দিকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেখানকার পরিস্থিতি দিন দিন পাল্টাচ্ছে এবং এই পরিবর্তনের স্বীকৃতি দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, অতীত নয় বরং ভবিষ্যতের জন্য এবং বর্তমানে সেখানে যা হচ্ছে তাকে স্বীকৃতি দিতেই এই পদক্ষেপ।
এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে স্বাগত জানিয়েছেন মিয়ানমার প্রেসিডেন্টের প্রধান রাজনৈতিক উপদেষ্টা কো কো হাইয়াং।
এদিকে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে মিয়ানমারকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১১