লন্ডন: বিমানবন্দরে যাত্রীদের দেহ তল্লাশির কাজে ব্যবহৃত বিতর্কিত স্ক্যানার যন্ত্র ইউরোপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যন্ত্রটি থেকে নির্গত রশ্মি ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে এই আশঙ্কার ভিত্তিতে যন্ত্রটির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হল।
পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর বিশেজ্ঞরা বলেছেন, যন্ত্রটি থেকে নি¤œ মাত্রার ক্ষতিকর বিকিরণ বের হয়।
যন্ত্রটির বিপদ সংঘটনমাত্রার পরিমাণ সঠিকভাবে যাচাই না হওয়া পর্যন্ত সেটি কোথাও ব্যবহার না করতে সদস্য দেশগুলোর প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
আশঙ্কার কথা হচ্ছে, ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী কয়েক মিলিয়ন বিমানযাত্রীকে এই নিরাপত্তা স্ক্যানারের মাধ্যমে তল্লাশি করা হয়েছে।
ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার বিমান বন্দরে ৮০ হাজার পাউন্ড মূল্যের এরকম ১৬টি যন্ত্র রয়েছে। তারা এই যন্ত্র ব্যবহারের জন্য আরও এক বছরের অনুমতি পেয়েছে।
তবে নাগরিকদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার জন্য আর কোনও নতুন যন্ত্র অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে।
২০০৯ সালে ব্রিটেনে আন্ডার ওয়ার বোমা হামলা পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওযার পর বিমান বন্দরগুলোতে এই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
যন্ত্রটি এর আগে হিথ্রো বিমান বন্দরে স্থাপন করা হয়েছিল কিন্তু ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয় এই অভিযোগে এর ব্যবহার পরে স্থগিত করা হয়।
উল্লেখ্য, কাউকে এই যন্ত্রের মাধ্যমে তল্লাশির সময় স্ক্রিনে ওই ব্যক্তিকে বিবস্ত্র দেখা যায়।
ব্রিটেন ছাড়াও যন্ত্রটি জার্মানি, হল্যান্ড, ইতালিসহ ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তবে, এখন যদি বিশেষজ্ঞরা এর ব্যবহার বিপদজনক বলে মত দেয় তাহলে আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে এই যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১১