মস্কো: রাশিয়ার নেতৃত্বে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দুটি রাষ্ট্র একটি ইউরেশিয়ান অর্থনৈতিক জোট গঠনে একমত হয়েছে। গত শুক্রবার মস্কোতে তারা এই ব্যাপারে প্রথম পদক্ষেপ নিতে এক বৈঠকে মিলিত হয়।
সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলোকে আরও ঘনিষ্ঠ মিত্রে পরিণত করার উদ্দেশ্যে একটি জোট গঠনের জন্য রুশ প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিনের একটি পরিকল্পনার আলোকে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদ, কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট নূর সুলতান নাজারবায়েভ এবং বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকশেংকো মস্কোতে মিলিত হন।
বৈঠকে তারা অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও নিবিড় করার লক্ষ্যে একটি ঘোষণায় সই করেন।
ভবিষ্যতে একটি ইউরেশিয়ান অর্থনৈতিক জোট গঠনের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জাতীয় পত্রিকায় পত্রিকায় প্রকাশিত পুতিনের একটি কলামে এই ধরনের একটি পরিকল্পনার ইঙ্গিত রয়েছে। রাশিয়ায় ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিন আবারও অংশগ্রহণের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই কলামটি প্রকাশিত হয়।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাক্কালে তার এই উদ্যোগ তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
অবশ্য মস্কো ঘোষণায় স্বাক্ষরকারী তিনটি দেশের মধ্যে এর আগেই শুল্ক ইউনিয়ন গঠিত হয়েছে। তবে এই ঘোষণার মাধ্যমে তাদের মধ্যে একটি অভিন্ন অর্থনৈতিক জোট গঠনের পথ প্রশস্ত হল।
এই জোট তাদের ইউরোপীয় প্রতিবেশিদের মধ্যে গঠিত অর্থনৈতিক জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।
বিবৃতিতে এই জোট গঠনের নির্দিষ্ট কোনও তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। তবে রাশিয়ার একটি পত্রিকা জানিয়েছে, ২০১৫ সালের মধ্যেই এই জোট গঠিত হবে।
আপাতত ঘোষণায় সই করা তিনটি দেশ নিয়েই এই জোট গঠন করা হলেও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত যে কোনও দেশের জন্য এর দুয়ার খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।
এর আগে পুতিন তার এক কলামে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনকে গত শতাব্দীর সবচে বড় ভূ-রাজনৈতিক ট্রাজেডি বলে উল্লেখ করেছিলেন।
এ কারণেই পুতিনের সমালোচকরা মনে করছেন, এই সব জোটের আড়ালে মূলত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো একটি ব্যবস্থা পুর্নবহাল করতে চান তিনি।
পুতিন অবশ্য এই সব সমালোচনা উড়িয়ে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১১