বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবির পর পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে পাল্টা ওই দাবি করা হয়।
বুদগাম শহরের গারেন্দ কালান গ্রামের একটি উন্মুক্ত মাঠে যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয় জানিয়ে সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা দু’টি মরদেহ উদ্ধার করেছি।
তবে এর পরপরই ইসলামাবাদভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের বিমান বাহিনী নিজস্ব আকাশসীমা থেকে সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখার (লাইন অব কন্ট্রোল) আশপাশে হামলা চালিয়েছে। দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, পাকিস্তানের বিমান বাহিনী ভারতের দু’টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। একটি ভেঙে পড়েছে (পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত) আজাদ কাশ্মীরে, আরেকটি পড়েছে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে।
এরপর আজাদ কাশ্মীরে ভেঙে পড়া যুদ্ধবিমানের বেশ কিছু ছবি সংবাদমাধ্যমে পাঠায় আইএসপিআর।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে মেজর জেনারেল গফুর দাবি করেন, এই ঘটনায় দু’জন ভারতীয় পাইলটকে আটক করা হয়েছে। একজনের অবস্থা গুরুতর বিধায় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে। আরেকজন সামরিক বাহিনীর কাছেই আছে।
এরপর পাকিস্তানের জিওটিভি, এআরওয়াই নিউজ চ্যানেলসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, আটক এক পাইলট তার স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন- তিনি উইং কমান্ডার অভি নন্দন, ভারতীয় বিমান বাহিনীতে তার সার্ভিস নম্বর ২৭৯৮১।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ভারতের বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) গাড়িবহরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ৪৪ জওয়ান নিহত হন।
জঙ্গিদের মদত দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদকে অভিযুক্ত করে এর মোক্ষম জবাব দিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে পাকিস্তানের বালাকোট শহরে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের আস্তানায় হামলা চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী। হামলায় প্রায় ৩০০ জঙ্গি নিহত হয় বলে দাবি করে ভারত।
এর একদিন পরই ভারতের দু’টি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত ও দু’জন পাইলট আটক করার দাবি করলো পাকিস্তান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
এইচএ/
** ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, ২ পাইলট নিহত