শুক্রবার (১ মার্চ) ‘ইসলামী সহযোগিতার ৫০ বছর: সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন পথের মানচিত্র’ শিরোনামে শুরু হওয়া ওইআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এই সভা চলবে শনিবারও (২ মার্চ)। শুক্রবারই কোরেশি পাকিস্তানের সংসদে জানান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে আমন্ত্রণ জানানোয় তিনি এ সভায় যাচ্ছেন না।
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন হয়েও ওআইসি ইসলামাবাদকে উপেক্ষা করে নয়াদিল্লিকে সভায় স্বাগত জানানোয় কোরেশি ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
অবশ্য শুক্রবার ওআইসির সভায় যোগ দিয়ে পাকিস্তানকে ইঙ্গিত করে রীতিমত ঝড় তুলেছেন সুষমা। তিনি মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, ভারত কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে লড়াই করছে না, করছে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। চলুন সবাই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়ি।
সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের মদত দেওয়ার বিভিন্ন বিষয়াদিও তিনি তুলে ধরেন ওআইসির সভায়।
উত্তপ্ত কাশ্মীরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সিআরপিএফের গাড়িবহরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ৪৪ জওয়ান নিহত হন। জঙ্গিদের মদত দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদকে অভিযুক্ত করে এর মোক্ষম জবাব দিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে পাকিস্তানের বালাকোট শহরে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের আস্তানায় হামলা চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী। এর একদিন পরই বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতের দু’টি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত ও পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে আটক করে পাকিস্তান।
এরপর ভারত তাদের পাইলটকে ফেরত চেয়ে দিল্লিতে নিযুক্ত দেশটির উপ-হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠায়। এর মাঝেই বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ঘোষণা দেন, ‘শান্তির স্বার্থে’ শুক্রবার অভিনন্দনকে মুক্তি দেওয়া হবে। তার ঘোষণা অনুযায়ী এখন সীমান্তে অভিনন্দনকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৯
এসএ/এইচএ/