মঙ্গলবার (০৭ মে) রুশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি কোমারসান্ট রিপোর্ট করেছে, সুখোই সুপারজেট-১০০ মডেলের প্লেনটি মস্কো টাইম সন্ধ্যা ৬টা ৩ মিনিটে শেরিমেতভো বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই এর পাইলট আবার ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করেন।
কেননা, বজ্রপাতের আঘাতে না-কি প্লেনটির রেডিও কমিউনিকেশন চ্যানেল এবং অটোমেটিক কন্ট্রোল ডিভাইস কাজ করছিল না।
প্লেনটির পাইলট দেনিশ ইভদোকিমোভ জানিয়েছেন, বজ্রপাতের কারণে ‘এসইউ১৪৯২’ ফ্লাইটের কমিউনিকেশন এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কন্ট্রোল মুড হারিয়ে যায়। বজ্রপাতের কারণেই মারাত্মক ধরনের এ ঘটনা ঘটেছে।
ফ্লাইট্র্যাডার-২৪ ট্র্যাকিং সার্ভিস দেখাচ্ছে, উড্ডয়নের ৩০ মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হওয়ার আগে প্লেনটি মস্কোতে দুইবার চলাচল করেছে। তখন কোনো সমস্যা হয়নি বা কোনো কিছু ধরাও পড়েনি।
সংবাদমাধ্যমের ভিডিওতে দেখা গেছে, প্লেনটির পেছনে ভয়াবহ আগুন। বিমানবন্দরে যখন প্লেন অবতরণ করা হলো, তখন আরোহীরা দ্রুত নামছেন। যদিও প্লেনটিতে থাকা ৭৩ যাত্রী এবং পাঁচ ক্রু’র মধ্যে ৪১ জন মারা গেছেন।
এদিকে, রুশ সংবাদমাধ্যম দ্য মস্কো টাইমস বলছে, এ ঘটনায় গঠিত রাশিয়ার তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, তারা একটি ক্রিমিনাল কেস পর্যালোচনা করছে। একইসঙ্গে প্লেন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে পাইলটরা এয়ার নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করেছিলেন কি-না, সে বিষয়ে অনুসন্ধান করেছে দলটি। এছাড়া ডাটা রেকর্ডের মাধ্যমে এ ঘটনার তদন্ত চলছে।
রোববার (০৫ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় মস্কোর শেরিমেতভো বিমানবন্দর থেকে ৭৮ আরোহী নিয়ে মুরমানস্ক অভিমুখে উড্ডয়ন করে ‘এসইউ১৪৯২’ ফ্লাইট। এর কিছুক্ষণ পরই আগুন নিয়ে প্লেনটি আবার শেরিমেতভো বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। তখন রানওয়েতে প্লেনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় ৪১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুণ>> রাশিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৪১
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৯
টিএ