ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গত ৮ মে রাজ্যের বান্দিপোরার সুমবল গ্রামে মিষ্টি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে বাড়ির পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করে এক প্রতিবেশি যুবক। বাড়ি ফিরে শিশুটি তার বাবা-মাকে এ ঘটনার কথা জানায়।
এরপর থেকেই ঘটনার দ্রুত তদন্তসহ দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি জানান জম্মু-কাশ্মীরের লোকজন। এতে রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন যোগ দিলে তা বিক্ষোভে রূপ নেয়।
সোমবার (১৩ মে) বিক্ষোভকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষের পর সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ইতিহাদুল মুসলিমীন নামে একটি ধর্মীয় সংগঠনের ডাকে বনধ চলছে রাজ্যের শ্রীনগর এলাকায়।
উত্তর কাশ্মীরের ডিআইজি মুহাম্মদ সুলেমান চৌধুরী বলেন, ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে কাজ করছে বিশেষ টিম।
এসময় কোনো প্রকার সহিংসতায় না জড়াতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
পুলিশের এক ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা জানান, শিশুটির মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ শিশুদের যৌন নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
এদিকে, অভিযুক্তের বয়স নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। এলাকার একটি স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সে অপ্রাপ্তবয়স্ক। এতে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী স্কুলটি বন্ধ করে দিয়েছে। কয়েকজন সেটিতে আগুন দেওয়ারও চেষ্টা চালায়।
পুলিশ জানায়, স্কুলের প্রিন্সিপাল ধর্ষণে অভিযুক্তের নিকটাত্মীয়। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ক্ষতি করতে পারে ভেবে তাকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা স্কুল প্রিন্সিপালের কথা মতো অভিযুক্তের বয়স মানছি না। মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষা করে তার বয়স নির্ধারণ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
একে