শুক্রবার (২৪ মে) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়। দলটির পরবর্তী করণীয় এবং নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা হতে পারে নির্বাচনে বড় ধাক্কা খাওয়ার পরের এ বৈঠকে।
এদিকে, শুক্রবার সকাল থেকে দলের নির্বাচনে পরপর দুইবার ভরাডুবির দায় নিজেদের কাঁদে নিয়ে কংগ্রেস নেতারা পদত্যাগ করতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যেই কংগ্রেসের উত্তর প্রদেশের প্রধান রাজ বাব্বরসহ তিন রাজ্যপ্রধান রাহুল গান্ধীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। রাহুলের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন কর্ণাটক কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা এইচকে পাতিলও। তিনি এবারের নির্বাচনে প্রচার ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। সূত্র বলছে, এসব বিষয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে।
এছাড়া কংগ্রেসের ঐতিহ্যবাহী আসন বা গান্ধী পরিবারের সবসময়ই জয়ী হয়ে আসা নির্বাচনকেন্দ্র উত্তর প্রদেশের আমেথিতে রাহুলের হেরে যাওয়ার বিষয়েও আলোচনা হবে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকটিতে।
কংগ্রেসের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বলছে, কংগ্রেস সভাপতি রাহুলের আমেথিতে হেরে যাওয়ার বিষয়টি শনিবারের বৈঠকে প্রধান আলোচ্য বিষয় হিসেবে থাকবে।
ভোটগ্রহণসহ প্রায় দুই মাসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বৃহস্পতিবার গণনা করা হলে, তাতে কংগ্রেসকে টেক্কা দিয়ে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে যায় ক্ষমতাসীন দল বিজেপি তথা এর জোট। ৫৪২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট পায় মাত্র ৮৩টি। আর বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ প্রায় ৩৫০টি। এছাড়া এনডিএ জোটের ২৯০টি আসনই এককভাবে পেয়ে বসে বিজেপি; যেখানে সরকার গঠন করতে লাগে ২৭২টি আসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৯
টিএ