তিনি বলেন, ইরানে আমরা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন খুঁজছি না। এমনকি আমরা কোনো পরমাণু অস্ত্রও খুঁজছি না।
অনেক সমালোচনার পরও তিনি এখনও বিশ্বাস করেন তার দেশ তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করবে, এমনটি তিনি স্পষ্টও করেছেন।
সোমবার (২৭ মে) টোকিওতে জাপানিজ প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে যৌথ প্রেস কনফারেন্সে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের চলমান সংকটের প্রসঙ্গ আসলে এমন দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
চারদিনের সরকারি সফর করতে মার্কিন এ নেতা জাপানে অবস্থান করছেন। সেখানে ট্রাম্পকে ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেয় জাপান। শিনজো আবে ট্রাম্পের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।
এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ইতোমধ্যেই ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার কথা বলেছেন এবং আমি বিশ্বাস করি ইরান জাপানের এই কথা পছন্দ করবে। আর ইরান যদি এ কথা পছন্দ করে, তাহলে আমরাও করবো।
সরকারি সফরে গিয়ে ট্রাম্প এও বলেন, আমরা দেখছি, কী ঘটতে যাচ্ছে। কেউই ভয়ানক কিছু দেখতে চায় না। বিশেষ করে আমিও এ ধরনের কিছু দেখতে চাই না।
তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, যদিও ট্রাম্প শান্তির কথা বলছেন, কিন্তু ইরানের সঙ্গে ‘যুদ্ধের বার্তা’ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র এবং সামরিক সদস্য পাঠানো তিনি বন্ধ করছেন না। জাপানে যাওয়ার আগেও পারস্য উপসাগরে আরও দেড় হাজার সৈন্য পাঠিয়ে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতি হিসেবে ‘তুলনামুলক ছোট’ পদক্ষেপ এটি। এছাড়া তার নির্দেশে পারস্য উপসাগরে অবস্থান করছে মার্কিন এয়াক্রাফট বাহক স্ট্রাইক গ্রুপ, বি-২৫ বোমা হামলার দ্রুততম স্থাপনাসহ বড় ধরনের সামরিক শক্তি। অবশ্য ট্রাম্প শুরু থেকেই বলে আসছেন ইরানের সঙ্গে তারা যুদ্ধে যেতে চান না। শুধু মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ বাঁচিয়ে রাখতে তৎপর।
আরও পড়ুন>>
** ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ নয়, ট্রাম্পকে ৭৬ সাবেক কর্মকর্তা
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
টিএ