ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী গৃহবন্দি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১৯
কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী গৃহবন্দি

ঢাকা: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই রাজ্যটির সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাহসহ আরও এক নেতাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে।

রোববার (৪ আগস্ট) রাতে তাদের গৃহবন্দি করার নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাহ এবং আরও এক নেতা সাজাদ লোনকে গৃহবন্দি করা হয়েছে।

 একইসঙ্গে কাশ্মীরের অনেক এলাকাতে ইন্টারনেট ও ল্যান্ডফোন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সেখানে কোনো ধরনের র‌্যালি এবং সভা-সমাবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বর্তমানে কাশ্মীরের নিরাপত্তা হুমকির মুখে। এর মধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে টুইটারে দেওয়া বার্তায় মেহবুবা মুফতি লিখেছেন, আমাদের মতো নির্বাচিত প্রতিনিধি, যারা শান্তির জন্য লড়াই করছি, তারা আজ গৃহবন্দি। জম্মু ও কাশ্মীরে কীভাবে মানুষের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে তা বিশ্ব দেখছে।

কাশ্মীরের নিরাপত্তা ইস্যুতে রোববার দিল্লিতে জরুরি বৈঠক করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাপ্রধান অরবিন্দ কুমার, রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল উইংয়ের (র) সামন্ত গোয়েল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব গউবাসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা। সোমবার (৫ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।  

এর আগে সন্ত্রাসী হামলার হুমকির জেরে কাশ্মীরে সতর্কতা জারি করা হয়। একই সঙ্গে সেখানকার অমরনাথ মন্দিরে তীর্থযাত্রায় আসা হাজারো হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষসহ সাধারণ পর্যটকদের দ্রুত কাশ্মীর ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর থেকেই কাশ্মীর ছাড়তে শুরু করেন তীর্থযাত্রী ও পর্যটকরা।

পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গিরাই বার্ষিক এ তীর্থযাত্রায় হামলার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। তবে ভারতের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান।

অন্যদিকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কেরান গ্রামের সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্ডার অ্যাকশন টিমের (বিএটি) সদস্যদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় পাঁচ অনুপ্রবেশকারী নিহত হয়েছেন।

যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাশ্মীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। একইসঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার অতিরিক্ত সৈন্য। এছাড়া ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মুহম্মদের চার সদস্যও নিহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯
এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।