ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কাশ্মীরের পথে আরও ৮ হাজার সেনা 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১৯
কাশ্মীরের পথে আরও ৮ হাজার সেনা 

ঢাকা: ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীরকে দেওয়া বিশেষ মর্যাদা বাতিল ঘোষণার পরপরই সেখানে আরও আট হাজার বাড়তি সেনা পাঠাচ্ছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

 

সোমবার (০৫ আগস্ট) কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নতুন করে এ সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। ইতোমধ্যে কাশ্মীরের পথে রওয়ানা হয়েছে সেনাদল।

খবরে কলা হয়, ভারতীয় বিমান বাহিনীর সি-১৭ প্লেনে করে এসব সেনাকে জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করা ৩৫ হাজার সেনার সঙ্গে তারা যোগ দেবেন।

নয়াদিল্লীভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশটির সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

ভারতীয় সংবিধানে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ওই অঞ্চলের মানুষের গভীর আবেগের সঙ্গে যুক্ত। ফলে এ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্তে ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা জোরদার করার উদ্দেশ্যে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা হুমকির মুখে, এমন কথা বলে সেখানকার অমরনাথ মন্দিরে আসা হাজারো তীর্থযাত্রীসহ সাধারণ পর্যটকদের এ অঞ্চল ছেড়ে যেতে বলা হয়। তারাও ইতোমধ্যে কাশ্মীর ছাড়তে শুরু করেছেন।

৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুসারে জম্মু-কাশ্মীরের নিজস্ব সংবিধান রয়েছে। এছাড়া প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ ও বৈদেশিক বিষয় ছাড়া সব বিষয়েই নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে এ রাজ্যকে। সংবিধান থেকে এ অনুচ্ছেদ বাদ দেওয়া হলে রাজ্যটির এ বিশেষ সুবিধাও বাতিল হয়ে যাবে। যদিও প্রধানত এ সুবিধা দেওয়ার মধ্য দিয়েই ১৯৪৭ সালে জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।

সরকার জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরকে বিভক্ত করে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হবে। এতে করে এটি কেন্দ্রীয় ভারতেরই অংশ হবে। এর মধ্যে একটি অংশ হলো- জম্মু-কাশ্মীর, অন্যটি লাদাখ। দিল্লীর মতোই জম্মু-কাশ্মীরের নিজস্ব আইনসভা থাকবে।

কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, জম্মু-কাশ্মীরে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার হুমকির মুখে এতো বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হলো।

গোয়েন্দাসূত্র জানায়, জম্মু-কাশ্মীরের অমরনাথ মন্দিরে আসা তীর্থযাত্রীদের ওপর হামলা চালাতে গত ২৯ থেকে ৩১ জুলাই এ তিনদিন সীমান্ত দিয়ে এখানে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এদের মধ্যে চার থেকে পাঁচ সন্ত্রাসী জম্মু-কাশ্মীরে প্রবেশ করতে সক্ষমও হয়েছে। সন্ত্রাসীদের মূল লক্ষ্য ছিল, ফেব্রুয়ারিতে ঘটানো পুলওয়ামা হামলার মতোই আরেকটি হামলা অমরনাথে আসা তীর্থযাত্রীদের ওপর চালানো। এ রকম পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে তীর্থযাত্রা অব্যাহত রাখার কোনো সুযোগ ছিল না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯ 
এইচজে/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।