ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কাশ্মীরে বিক্ষোভকারী নিহত, হাসপাতালে ৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৯
কাশ্মীরে বিক্ষোভকারী নিহত, হাসপাতালে ৬

ভারতশাসিত কাশ্মীরে কারফিউর মধ্যে বিক্ষোভকারী এক তরুণ পুলিশের ধাওয়ায় ঝিলম নদীতে পড়ে মারা গেছেন। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে বা অন্য আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও অন্তত ছয় জন।

তরুণ নিহত হওয়ার বিষয়টি পুলিশের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়ে জানিয়েছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি। আরেকটি সূত্রের বরাত দিয়ে ছয় জনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবরও দিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদায় সংবিধানে রাখা ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলকে কেন্দ্র করে অঞ্চলটিজুড়ে সামরিক ও আধা সামরিক প্রচুর সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করেছে ভারত সরকার। বন্দি করা হয়েছে সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আব্দুল্লাহসহ মূলধারা রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক নেতাকে। ইন্টারনেট, ক্যাবল নেটওয়ার্কসহ যাবতীয় সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে সেখানে। কারফিউ জারি করে রাস্তায় রাস্তায় সাঁজোয়া যান নিয়ে টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী।

এই অবস্থার মধ্যেই শ্রীনগরে বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভের খবর দেয় এএফপি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শ্রীনগরের পুরনো শহরে বিক্ষোভকালে এক তরুণকে পুলিশ ধাওয়া দিলে তিনি ঝিলম নদীতে পড়ে যান, সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

আরেকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, গুলিবিদ্ধ হয়ে অথবা অন্য কোনো আঘাত নিয়ে শ্রীনগরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে অন্তত ছয় জন।

তবে এসব ঘটনা নিয়ে সরাসরি দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে কিছু বলা হচ্ছে না। পুলিশ সদরদপ্তর দাবি করছে, কারফিউ জারির পর থেকেই কাশ্মীর শান্তিপূর্ণ দেখা যাচ্ছে। কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কিছু বলছে না ভারতীয় সংবাদমাধ্যমও।

সংবাদমাধ্যম জানায়, ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার সময় উপমহাদেশ ভাগ হয়ে গেলে তখন কাশ্মীরের শাসকরা বিশেষ শর্তে ভারতে যোগ দেন। সেই শর্তটিই ৩৭০ অনুচ্ছেদ আকারে সংবিধানে সংরক্ষিত ছিল। এই অনুচ্ছেদের আওতায় কাশ্মীর আলাদা সংবিধান ও পতাকার স্বাধীনতা ভোগ করতো। এমনকি সেখানে সরকারি চাকরি, জমি কেনা এবং ব্যবসা করার সুযোগটিও ছিল কেবল কাশ্মীরিদের জন্যই। কিন্তু অনুচ্ছেদটি উঠে যাওয়ার ফলে সেসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে ‘ভূস্বর্গ’ খ্যাত কাশ্মীরের জনগণ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।