করাচি: পাকিস্তানের বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রান সরবরাহের সময় ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের আরও কিছু শহর নতুন করে প্লাবিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলের বড় একটি শহর প্লাবিত হওয়ায় গৃহহীন প্রায় ৮ লাখ মানুষ এখন ত্রাণ সাহায্যের উপর বেঁচে আছে। তবে খুব ধীরগতিতে সাহায্য আসছে বলে তারা অভিযোগ করে আসছেন।
কেন্দ্রীয় সংসদের নিম্নকক্ষে গিলানি বলেন, ‘৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ত্রাণ সাহায্য দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারিত হলেও বর্তমান পরিস্থিতি ও জরুরি প্রয়োজনে তা আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ব ব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ক্ষতি ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার কাজ এবং ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে পুনরুদ্ধারের প্রথম পর্বের কাজ শেষ হবে। ’
৩৫০ কিলোমিটারের মধ্যে অনেক বন্যা দুর্গত এলাকা থাকায় কর্তৃপক্ষ করাচির উত্তরের সিন্ধু প্রদেশের বহু বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছে। তবে জরুরি ভিত্তিতে আরও হাজার হাজার তাবুর প্রয়োজন বলেও তারা জানান।
তাবুর সংকটের কথা উল্লেখ করে সিন্ধুর ত্রাণ কমিশনার গুলাম আলী পাশা বলেন, ‘সিন্ধু প্রদেশের প্রায় আট লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এবং ২৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ’
এছাড়া বন্যার কারণে ৪ হাজার ৬শ’ স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সরকারি হিসেবে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৭৬০ হলেও নিখোঁজের সংখ্যা গণনার পর এ সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেড়ে যাবে বলে দুর্যোগ কর্মকর্তারা সতর্ক করে দেন।
এ পর্যন্ত ৭০ লাখ মার্কিন ডলার আন্তর্জাতিক অর্থ সাহায্য পাওয়া গেলেও বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের ক্ষোভ ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১০