ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সিরিয়া ইস্যু: মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় তুরস্কের ২ মন্ত্রণালয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
সিরিয়া ইস্যু: মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় তুরস্কের ২ মন্ত্রণালয়

ঢাকা: সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে তুরস্ক। যার জেরে তুরস্কের দুই মন্ত্রণালয় ও তিন মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এমন তথ্যই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সিরিয়ার ওইসব অঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের সেনা প্রত্যাহারের পরপরই মার্কিন সমর্থিত কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ‘সামরিক অভিযান’ শুরু করেছে তুরস্ক।

তাদের এ হামলায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১০০ জনেরও বেশি মানুষ। এছাড়া ঘর ছাড়তে হয়েছে অন্তত এক লাখ মানুষকে।

মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পরপরই তুরস্কের এমন হামলায় বিশ্বজুড়ে বইছে নিন্দার ঝড়। ধারণা করা হচ্ছে, নিজেদের সৈন্য প্রত্যাহার করে তুরস্ককে সামরিক অভিযান চালানোর ‘সবুজ সঙ্কেত’ই দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও সেটি অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সবশেষ সোমবার (১৪ অক্টোবর) তুরস্কের দুই মন্ত্রণালয় ও তিন মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো মার্কিন সরকার।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ওই দুই মন্ত্রণালয় হলো- তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়। আর তিন মন্ত্রী হলেন- দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী, জ্বালানিমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এছাড়া চলমান এ হামলার ‘তাৎক্ষণিক বিরতি’র আহ্বান জানাতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগানকে ফোন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শিগগিরই সিরিয়ার ওইসব অঞ্চল পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।

সোমবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টেভেন মুচিন বলেন, তুরস্কের ওপর আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞা ‘বেশ শক্তিশালী’। যার প্রভাব দেশটির অর্থনীতিতে পড়বে।

অন্যদিকে আঙ্কারা হামলা বন্ধ না করলে তাদের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে সোমবারই জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।

এর আগে শনিবারও (১২ অক্টোবর) তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে বলে দেশটিকে সতর্ক করে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পার বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনও কুর্দিদের সঙ্গেই আছে। আঙ্কারা এই অভিযান বন্ধ না করলে তাদের ‘মারাত্মক পরিণতি’ হতে পারে।

অন্যদিকে তুরস্কের অভিযান রুখতে কুর্দিদের সহায়তায় দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিরীয় সরকার। ওয়াশিংটনের অনুরোধেই সিরীয় সরকার যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত কুর্দিদের সেনা সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে সিরীয় সৈন্যরা ওইসব অঞ্চলে অবস্থান করছেন।

চলমান এই সঙ্কট নিরসনে আঙ্কারাকে কুর্দিদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও। তবে এরপরেও নিজ অবস্থান থেকে সরে আসেনি আঙ্কারা।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
এসএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।