এর আগে ব্রেক্সিট চুক্তিতে কোনো একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে অবশ্যই হাউস অব কমন্সে পাস হতে হবে বিলটি।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বরিস জনসনের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিস বলেন, এটা ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিল।
এদিকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যুক্তরাজ্যকে ব্রেক্সিট বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হবে। নয়তো পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার চাপ আসতে পারে বরিস জনসনের ওপর।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভোটাভুটির পর ব্রেক্সিট ইস্যুতে ইইউর কাছে আরও তিনমাস সময় নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন আইনপ্রণেতারা। তাদের দাবি অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেন বরিস জনসন।
তিনি জানান, ৩১ অক্টোবর অবশ্যই যুক্তরাজ্যকে ব্রেক্সিট নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে হবে। এরপর পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না তার।
মঙ্গলবার হাউস অব কমন্সে প্রাথমিক পর্যায়ে জয়ের দিকেই যাচ্ছিলেন বরিস জনসন কিন্তু পরবর্তীতে ১৪ জনের ভোটে এগিয়ে যায় ব্রেক্সিট পিছিয়ে নেওয়ার দাবি। এদিকে, নিয়ম অনুযায়ী ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শেষ করতে হলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে চলতি মাসেই ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে।
বরিস জানান, এমপিদের ভোটে ব্রেক্সিট পিছিয়ে যাওয়ায় খেসারত গুনতে হবে যুক্তরাজ্যকেই।
আগামী আটদিনের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে ব্রিটেনের। এর ধারাবাহিকতায় অনেক অচলাবস্থা কাটিয়ে অবশেষে বরিস জনসন এবং ইইউ নেতারা এ বিচ্ছেদ হওয়ার জন্য ব্রাসেলসে নতুন একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছিলেন।
হাউস অব কমন্সে সরকার প্রস্তাবিত ১১৫ পৃষ্ঠার চুক্তির খসড়া উত্থাপনের পর আলোচনার জন্য এটি গ্রহণ করা হয়। কিন্তু আলোচনা তিন দিনের মধ্যে শেষ করার প্রস্তাব তোলা হলে তা ৩২২-২০৮ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
কেএসডি/এইচএডি