ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নোংরা তেল-জলে মাখামাখি কিশোরের ছবি ভাইরাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
নোংরা তেল-জলে মাখামাখি কিশোরের ছবি ভাইরাল নোংরা তেল-জলে মাখামাখি কিশোর এভারটন মিগুয়েল দোস অ্যাঞ্জোস। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাজিলের সাগরে ছড়িয়ে পড়া তেল অপসারণে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করছিলেন ১৩ বছর বয়সী কিশোর এভারটন মিগুয়েল দোস অ্যাঞ্জোস। এসময় নোংরা তেল-জলে তার শরীর মাখামাখি হয়ে যায়। আর এ অবস্থায় তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা থেকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে ব্রাজিলিয়ান কিশোর অ্যাঞ্জোস।

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে দেখা যায়, তেল অপসারণের কাজ করতে গিয়ে কোমর পর্যন্ত কালো পানিতে ময়লা হয়ে গেছে অ্যাঞ্জোসের শরীর। ময়লা তেলে কাপড়-চোপড়, এমনকি শরীরের চামড়া হয়ে গেছে বিবর্ণ।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বিপুল পরিমাণ তেল পড়ে দূষিত হয়েছে ব্রাজিলের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সাগরেরর পানি। তবে কী কারণে অপরিশোধিত তেল সাগরে ছড়িয়ে পড়েছে তা সঠিকভাবে জানা যায়নি।

গত ২১ অক্টোবর ব্রাজিলের উপকূলীয় শহর ক্যাবো দি সান্তো আগস্তিনহোর ইতাপুয়ামা সৈকতে তেল অপসারণের কাজ করছিল অ্যাঞ্জোস। সঙ্গে ছিল তার চার ভাইসহ বেশ কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন। সেদিন স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করছিলেন প্রায় কয়েকশ’ মানুষ। তারা সাগরের তীর ও পাথর থেকে তেল অপসারণ করছিলেন।

সাগরের পানিতে নামার সময় অ্যাঞ্জোস টি-শার্ট পরিহিত ছিলেন। কিন্তু পানি অতিরিক্ত নোংরা হওয়ায় টি শার্টের উপর বড় একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ কেটে পরে নেয় অ্যাঞ্জোস।  

এদিকে ভাইরাল হওয়া এ ছবির চিত্রগ্রাহককে অ্যাঞ্জোস জানায়, নোংরা তেল-জলে মাখামাখি ছবিটি দেখে বকেছে তার মা। সে জানায়, সাগরের তীর পরিষ্কার করতে চাইলে মা রাজি হয়। কিন্তু শর্ত ছিল, শরীরে ময়লা লাগানো যাবে না।  

ওই ছবি তোলার চারদিন পর অর্থাৎ ২৫ অক্টোবরের মধ্যে অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গেছে সাগরের পানি। আর স্বেচ্ছাসেবী ছাড়া সমুদ্রের পানি পরিষ্কার করতে সেনাবাহিনী এখন একাই কাজ করছে।

গত ৩০ আগস্ট ব্রাজিলের উত্তরপূর্ব উপকূলীয় শহর পারাইবার সাগরে তেল পড়ে। যা দুই হাজার ২৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। দুই মাস আগে তেল পড়ার পর এখন পর্যন্ত সাগরের পানি থেকে এক হাজার টন তেল অপসারণ করা হয়েছে। তেল পড়ার কারণে সাগরের পানি ব্যাপকভাবে দূষিত হয়ে গেছে। বিপর্যস্ত হয়েছে পর্যটন নির্ভর শহরগুলো। প্রায় দুইশ’ উপকূলীয় নগর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  

পরিবেশবাদীদের অভিযোগে, সরকার এই সংকট মোকাবিলায় খুব ধীরে কাজ করছে। ব্রাজিলের উত্তরপূর্বাঞ্চলের শহরগুলোর পরিবেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা বলছেন, এটা এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পরিবেশ দুর্যোগ। সরকার এখনো যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না।  

অন্যদিকে, তেল পড়ার ঘটনায় ভেনিজুয়েলাকে দায়ী করেছেন ব্রাজিলের প্রধানমন্ত্রী জেইর বলসোনারো। তবে কীভাবে তারা দায়ী সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
এফএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।