পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের কারণে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘ভারতের দু’টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার’ দাবি করে ইসলামাবাদ। তখন ভূপাতিত এক যুদ্ধবিমানের পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকেও আটক করা হয়।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর তার টুইটারে এক বার্তায় বলেন, ৬০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন ২৭ ফেব্রুয়ারির পর থেকে। এছাড়া বহু ভারতীয় সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের ব্যবহার করা বহু বাঙ্কার। একইসঙ্গে অর্টিলারি অস্ত্রের অবস্থানও নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বদলাতে হয়েছে সেনা-অবস্থানও।
তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে পিএএফ ভারতীয় এয়ার ফোর্সের দু’টি জেট ভূপাতিত করেছে। তাদের দু’টি হেলিকপ্টার ‘ভ্রান্তির’ মধ্যে পড়েছিল। একইসঙ্গে ভারতীয় নৌবাহিনী ছিল সম্পূর্ণ ‘কব্জায়’।
পাকিস্তানের আইএসপিআর এর আগে ভারতীয় সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের সমালোচনা করে বলে, তিনি তার বাহিনীকে ‘দুর্বৃত্ত বাহিনী’ হিসেবে গড়ে তুলছেন। ভারতীয় বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যুর বিষয়টিকে ‘অপচয়’ অভিহিত করে এর কারণ হিসেবে বিপিনের ‘বালখিল্য নেতৃত্ব এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার’ কথা বলা হয়।
সম্প্রতি বিপিন রাওয়াত বলেন, পাকিস্তানশাসিত আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিট-বাল্টিস্তান অঞ্চল সন্ত্রাসীদের ‘নিয়ন্ত্রণাধীন’। তার ওই মন্তব্যের পরই ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার এমন দাবি করলেন মেজর জেনারেল গফুর।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ফেব্রুয়ারির পর থেকে এখনো থেমে থেমে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে লাইন অব কন্ট্রোলে। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ভারতের বিশেষায়িত বাহিনী সিআরপিএফের ৪০ জনেরও বেশি সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনা দিয়ে শুরু হওয়া উত্তেজনা এখনো তুঙ্গে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
এইচএডি/এইচএ/