মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) একটি বিবৃতিতে তিনি বলেন, কাশ্মীরে অবাধে ঘুরতে এবং স্থানীদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি আমাকে। আসলে ভারত সরকার কী লুকাতে চাইছে? আমি মোদী সরকারের জনসংযোগের কাজ করতে ইচ্ছুক ছিলাম না।
এ লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক নেতা বলেন, যুক্তরাজ্যে কাশ্মীরের যারা বাস করছেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন তাদেরই পরিবারের লোকজন। আত্মীয়দের সঙ্গে নির্বিঘ্নে কথা বলতে চান তারা। নিজেদের কষ্টের কথা শোনাতেও চান তারা।
তিনি এও বলেন, আমি ভয় পাচ্ছি, এর পরিণতি ভালো হবে না। সামরিক শাসন জারি করে এবং স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে মানুষের হৃদয় ও মন জয় করতে পারেনি ভারত সরকার। হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়া হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে সেখানে।
এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরের চলমান পরিস্থিতি দেখতে ভারতে এসে সোমবার (২৮ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোবালের সঙ্গে বৈঠক করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দল। এরপর মঙ্গলবার পশ্চিমা ২৮ দেশের জোটটির দল কাশ্মীর উপত্যকায় যায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে।
গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় ভারত সরকার। এরপর কাশ্মীরের পরিস্থিতি সামাল দিতে এ পর্যন্ত ৪০০ রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে আটক করে রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট সেবা, যা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। কিছুদিন আগে মোবাইল ফোন সেবা চালু করা হলেও অনেকেই এটা ব্যবহার করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
টিএ