মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ভূমিধসে অনেকে নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখনও চাপা পড়া মাটি ও ধ্বংসস্তুপের নিচে প্রাণের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) স্থানীয় সময় রাত ১০টায় পশ্চিমাঞ্চলের বাফৌসাম শহরে প্রবল বৃষ্টিপাতে ধসে পড়ে পাহাড়ের একাংশ। এসময় অনেকেই ঘুমিয়ে ছিলেন ওই এলাকায়। তাই ধসের সময় শিশুদের নিয়ে সরে যাওয়ার সময় পাননি কেউ।
এ ঘটনায় শোকাবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশটিতে। নিহতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পল বিয়া।
খবরে বলা হয়, নিখোঁজদের সন্ধানে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) তৃতীয় দিনে উদ্ধার কার্যক্রমে আরও কর্মী যোগ দেবেন।
এদিকে, ভারী বর্ষণের ফলে আবারও ধসের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি গ্রামগুলোতে। তাই ওই এলাকা থেকে স্থানীয়দের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
এবছর মধ্য আফ্রিকায় অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বেশিরভাগ দেশেই বন্যা হচ্ছে। বর্ষাকাল চলে গেলেও এখনও টানাবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে দেশগুলোতে।
গত সপ্তাহে ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারী বর্ষণে মধ্য আফ্রিকার দক্ষিণ সুদানে বেশকিছু স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও প্রধান সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১০ লাখ মানুষ।
অন্যদিকে প্রচণ্ড বন্যায় মধ্য আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে অন্তত ৩০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
কেএসডি