শুক্রবার (১ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিল্লিকে গ্যাস চেম্বার আখ্যা দিয়েছেন তিনি। দূষণের জন্য পাশের হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের রাজ্য সরকারকেও দুষেছেন কেজরিওয়াল।
দিল্লির পরিবেশ হুমকির মুখে ফেলার জন্য পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং ও হরিয়ানার মনোহর লাল খট্টরের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন তিনি।
কেজরিওয়াল জানান, রাজ্যগুলোতে সময় বাঁচাতে ও শ্রমিকের ব্যয় কমাতে আগাছা পুড়িয়ে চাষের উপযোগী ফসলী জমি তৈরি করে কৃষকরা। তাদের আগাছা পোড়ানোর বিষাক্ত ধোঁয়া নিঃশ্বাসের সঙ্গে মানবদেহে ঢুকে যাচ্ছে। এ নিয়ে পাঞ্জাব-হরিয়ানার রাজ্য সরকার উদ্বিগ্ন নয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, শুক্রবার (১ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে দিল্লির একটি বিদ্যালয়ে শিশুদের মাস্ক বিতরণ করেন কেজরিওয়াল। এসময় তিনি শিশুদের ঘরের বাইরে সবসময় মাস্ক পরার পরামর্শ দেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর ৫০ লাখ শিশুর মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হবে।
ইতোমধ্যে, ধর্মীয় উৎসব দীপাবলিতে বাজি পোড়ানোর পর দিল্লির জলবায়ু মানুষ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। হরিয়ানা ও পাঞ্জাব থেকে আসা ধোঁয়ায় দূষণের মাত্রা সহনীয় পর্যায় ছাড়িয়ে গেছে। যেখানে শূন্য থেকে ১৫০ ইউনিট পর্যন্ত সহনীয় ধরা হয়, সেখানে দিল্লিতে শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স পরিমাপ করা হয় ৪১২ ইউনিট।
চিকিৎসকদের তথ্যানুযায়ী, ধোঁয়াশায় ছেয়ে যাওয়া দিল্লিতে শিশুরা ফুসফুসজনিত রোগে বেশি ভুগছে।
তবে, শিগগিরই বাতাসে বিষাক্ত পদার্থ ও ধূলিকণার পরিমাণ কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
কেএসডি