বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ইরানের নির্মাণ খাত পুরোপুরি দেশটির বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন দাবি করে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এর আগে একপাক্ষিকভাবে বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীকে একটি ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা নির্মাণ খাতের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো।
একই সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পে যাতে কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা করতে না পারে সে জন্য বেসামরিক পারমাণবিক সহায়তার ওপর নিষেধাজ্ঞার সময়সীমাও নতুন করে বাড়ানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) আগে থেকে জারি রাখা ওই নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হয়। এ যাত্রায় নতুন করে তা আরও ৯০ দিন বাড়ানো হলো।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে হওয়া বিশ্বের ছয় পরাশক্তির পারমাণবিক চুক্তি থেকে গত বছর একপাক্ষিকভাবে বেরিয়ে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পর থেকেই দেশটির ওপর একের পর এক কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে থাকে মার্কিনিরা। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানও ধাপে ধাপে চুক্তিটি থেকে সরে যাচ্ছে। তারা পুনরায় নিজেদের পারমাণবিক প্রকল্পের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
এইচজে