রোববার (৩ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।
নতুন এই আইন অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আগে অভিবাসীদের প্রমাণ করতে হবে তারা স্বাস্থ্যবিমার অর্থ পরিশোধ করতে সক্ষম।
তাছাড়া এ আইনের কারণে ফ্যামিলি-স্পন্সর্ড ভিসায় আমেরিকা যাওয়া অভিবাসীর সংখ্যা কমে যাবে বা একেবারে শূন্য হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাজ সাইমন বলেন, এ আইনে পারিবারিক ক্ষতি হবে। তাই এটি স্থগিত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতি বেশ জটিল। যারা এখনো দেশটিতে এসে পৌঁছায়নি, তাদের জন্য এটি বোঝা বেশ কষ্টসাধ্য।
খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের নতুন এই আইন প্রণয়নের পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করেছে পরিবারভিত্তিক অভিবাসন ব্যবস্থা থেকে সরে আসার চিন্তা।
গত ৪ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ৩০ দিনের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিমার নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে পারবে এমন প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হলে অভিবাসীদের ভিসা দেওয়া হবে না- এমন একটি আইনের ঘোষণাপত্রে সই করেন ট্রাম্প।
আইনটি নভেম্বরের ৩ তারিখে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও জাজ সাইমনের ২৮ দিনের স্থগিতাদেশের কারণে আপাতত তা হচ্ছে না।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, মার্কিন নাগরিকদের চেয়ে বৈধ অভিবাসীদের স্বাস্থ্যবিমা না থাকার হার তিনগুণ বেশি। আর তাদের চিকিৎসা খরচ করদাতাদের ওপর চাপানো উচিত নয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিনিদের তুলনায় অনেক কম ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যসেবা ব্যবহার করেন অভিবাসীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
এফএম/