পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৭০ দাঁড়িয়েছে। এখন নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।
এদিকে, বন্যায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ও ময়লা-আবর্জনা অপসরণে কাজ শুরু করেছেন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জার্মানি এবং বেলজিয়ামের বাসিন্দারা। তবে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ স্পষ্ট না।
পরিদর্শকরা বলছেন, জার্মান শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি বাঁধের বড় অংশের অবস্থা নাজুক। তাই নদীর কূলবর্তী বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অনেককে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র যেতে বলা হয়েছে।
স্মরণকালের এ বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জার্মানি। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ঝড়, ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বেলজিয়ামে ২৭ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, জার্মানিতে বন্যায় নিমেষেই মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে কয়েকটি শহর। যাতে এখও নিখোঁজ রয়েছে কয়েকশ মানুষ। ধারণা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
জার্মানির বিদায়ী চ্যান্সলার এঙ্গেলা মার্কেল জলবায়ু পরিবর্তনের এরূপ পরিস্থিতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
গত বুধবার সারা দিন ও বৃহস্পতিবার রাতজুড়ে প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে রাইন ও মোজেল নদীর শাখা পাহাড়ি নদীগুলোর দুই কূল উপচে যায়। খরস্রোতা নদীর পানি ছোট ছোট শহরগুলোতে ঢুকে পড়ে। বাসিন্দারা কিছু বোঝার আগেই নদীগুলোর পানি রাস্তা ও ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়ে এ পাণহানির ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২১
ওএইচ/