ভারত থেকে স্থলপথে দেশের ফেরার সময় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) হেফাজতে থাকা এক বাংলাদেশিকে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এই অভিযোগে বিএসএফ- এর এক এসআই-কে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ।
জানা গেছে, ওই নারী বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। তিন বছর ধরে গুজরাটের একটি শাড়ির শোরুমে কাজ করছেন তিনি। বুধবার বৈধ পাসপোর্ট ছাড়াই দালালের সাহায্যে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরছিলেন। এ জন্য দালালকে তিনি ও তার বান্ধবী মিলে মোট ৩০ হাজার রুপি দেন। কিন্তু গৈহাটা এলাকার ঝাউডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ-এর ১৫৮ ব্যাটালিয়ন সদস্যদের হাতে আটক হন তারা। এরপর রাতে ক্যাম্পে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।
ওই নারীর অভিযোগ, আমি এবং আমার এক বান্ধবী ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরার পথে বিএসএফ-এর হাতে ধরা পড়ি। কিন্তু দালালকে ধরা যায়নি। এরপর ক্যাম্পে আমাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে রামেশ্বর নামে এক বিএসএফ কর্মকর্তা একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে।
তিনি আরও বলেন, তাদের কোনো বৈধ পাসপোর্ট ছিল না। তাই চোরাই পথে তারা বাংলাদেশে ফিরছিলেন।
এদিকে, ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিএসএফ কর্মকর্তা গ্রেফতার করেছে স্থানীয় গাইঘাটা থানার পুলিশ। এরপর তাকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই বিএসএফ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, আমি কোনো অন্যায় কাজ করিনি। ওদেরকে কেবলমাত্র আটক করে নিয়ে এসেছি। ওই নারী অভিযোগ করতেই পারেন, কিন্তু আমি কিছু করিনি। তারা কেন অভিযোগ করেছে তা তারাই বলতে পারবেন।
বনগাঁ আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ওই নারীর বয়ান রেকর্ড ও তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২১
এসআইএস