পাকিস্তানের প্রায় ৩৩ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে জড়িত। এর ফলে তারা শৈশব হারাচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
দুনিয়া নিউজে একটি ব্লগ পোস্ট মেহমিল খালিদ লিখেছেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষর করা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এর নীতিকাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করা সত্ত্বেও শিশু শ্রমের বিপদ পাকিস্তানকে ছাড়েনি।
শারীরিক, যৌন, অর্থনৈতিক এবং মানসিক সহিংসতার ক্ষেত্রে শিশুদের শোষণ পাকিস্তানে তাদের বৃদ্ধি এবং উন্নয়নে ক্রমাগত বাধা হিসাবে কাজ করছে।
খুব ছোট থেকেই শিশুরা তাদের পরিবারের সহায়তার জন্য কঠোর গার্হস্থ্য বা শিল্প কাজে লিপ্ত হয়। দারিদ্র্য, মৌলিক সুবিধা না থাকা এবং অনিবন্ধিত জন্ম এই বিষয়টির কয়েকটি কারণ যা পাকিস্তানকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে।
ইউনিসেফের মতে, দারিদ্র্যের কারণে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের শিশুদের মতো তারা জীবন যাপন করতে পারে না। পাকিস্তানে ২০-৪৯ বয়সী নারীদের বিয়ে হয়েছে ১৫ বছর বয়সের আগেই। আর ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে হয়েছে ৩১ শতাংশ নারীর।
এছাড়া পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে মাত্র ৩৪ শতাংশ জাতীয়ভাবে জন্মের সময় নিবন্ধিত হয়।
খালিদ লিখেছেন, জন্ম নিবন্ধন শিশুদের মৌলিক অধিকার। কারণ এটি সন্তানের অস্তিত্ব এবং পরিচয়ের আইনি প্রমাণ দেয় এবং তাদের অল্প বয়সে বিবাহের মতো অন্যায় সামাজিক রীতিনীতি থেকে বাঁচায়।
পাকিস্তানে জাতিসংঘের শিশু শ্রম আইন পালন করা সত্ত্বেও, গৃহস্থালির কাজ করার জন্য শিশুদের নিয়োগ করা একটি সাধারণ দৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে অল্প বয়সী মেয়েরা যাদের সাথে মহিলারা মেলামেশা করা সহজ বলে মনে করেন।
পাকিস্তান এমপ্লয়মেন্ট অব চিলড্রেন অ্যাক্ট ১৯৯১ এর অধীনে একটি আইন পাস করেছে যা কারখানা, কার্পেট শিল্প এবং খনির মতো অনিরাপদ এবং বিপজ্জনক পরিবেশে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিয়োগ নিষিদ্ধ করে।
পাকিস্তানে জোর পূর্বক শিশু শ্রম সাধারণত ইট, কার্পেট এবং কয়লা শিল্পে ঘটে। বিশেষ করে যারা কার্পেট কারখানায় কাজ করে তারা কখনও কখনও দিনে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করে সপ্তাহে সাত দিন। কাজের জায়গাতেই তারা খায় এবং ঘুমায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২১
নিউজ ডেস্ক