আফগান নিরাপত্তা বাহিনী বুধবার রাতে হেরাত শহর এবং হেরাত প্রদেশের কারোখ জেলায় তালেবান হামলা প্রতিহত করেছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তালেবানরা হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং শহরের কিছু অংশে এখনো যুদ্ধ চলছে।
তারা জানান, তালেবানরা হেরাত শহরের দক্ষিণে পুল-ই-মালান, শহরের সেয়াওয়াশান গ্রাম এবং কারোখ জেলার কেন্দ্রে একযোগে হামলা চালায়।
স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৪০ জন তালেবান নিহত এবং ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
তবে তালেবানরা এখনো তাদের যোদ্ধাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
এই হামলায় সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি যানবাহনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
কমান্ডো বাহিনীর কমান্ডার আকরাম খান বলেন, আমাদের কাছে ট্যাংক ও সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে এবং আমরা শক্তি দিয়ে তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করব।
মোহাম্মদ ইসমাইল খান, একজন প্রাক্তন মুজাহিদিন নেতা, যিনি গণঅভ্যুত্থান বাহিনীর নেতৃত্বও দিচ্ছেন, যুদ্ধক্ষেত্র পরিদর্শন করেন। তিনি জনগণকে আশ্বাস দেন যে নিরাপত্তা বাহিনী তালেবানদের শহরে প্রবেশ করতে দেবে না।
তিনি বলেন, হেরাত শহরের নিকটবর্তী গ্রামগুলোতে অল্প সংখ্যক তালেবান এসেছে এবং এতে চিন্তার কিছু নেই। নিরাপত্তা বাহিনী এবং জনগণের বাহিনী তাদের নির্মূল করতে এবং শত্রুদের অগ্রসর হওয়া থেকে বিরত রাখতে প্রস্তুত। হেরাতের লোকেরা যেন চিন্তা না করে।
প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান জেনারেল সায়েদ মেরাজউদ্দিন সাদাত বলেন, "তালেবানরা জনগণের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল যাতে আমরা জেলাগুলিতে অগ্রসর হতে না পারি। "
"নিরাপত্তা বাহিনী গতকাল রাতে তালেবানদের জবাব দিয়েছে এবং তাদের লাশ যুদ্ধক্ষেত্রে রয়েছে। ২০৭ জাফর কোরের কমান্ডার কর্নেল আব্দুল হামিদ হামিদি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী এবং জনগণ তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে এবং তাদের শহর থেকে ফিরিয়ে দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২১
নিউজ ডেস্ক