ইরাক ও ইরান পাশাপাশি দুটি দেশ। রয়েছে দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা।
কিন্তু সেই যুদ্ধের রেশ কিংবা দ্বন্দ্ব কি সবখানে কাজ করে? না। দুই দেশের সীমান্ত এলাকার মানুষেরা সুযোগ পেলেই মিলেমিশে একাকার হয়ে যান। মেতে ওঠেন আড্ডায়।
দারবিশ আফফান নামের এক প্রবীণের চায়ের দোকান ঘিরে তেমনি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে ইরাক-ইরান। সীমান্তের কাঁটাতার কিংবা রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। সেখানে একই কাপে চা পান করেন দুই দেশের মানুষ।
সামান্য জমি থাকলেও ফসল না হওয়ায় বৃদ্ধ দারবিশ আফফানের সংসার চালানোই কষ্টকর হয়ে ওঠে। অনেক চিন্তা করে তিনি একটি চায়ের দোকান দেন। আর সেই ছোট্ট এই চায়ের দোকানই এক করেছে প্রতিবেশী দুই দেশের নাগরিকদের।
ইরাকের বিয়ারা শহরে দারবিশের দোকানটি ইরাক-ইরান সীমান্ত লাইনেই। দোকান থেকে মাত্র এক মিটার দূরেই ইরান সীমান্ত। প্রতিদিন সেই ছোট্ট চায়ের দোকানেই ভিড় জমে আড্ডাপ্রিয় দু’দেশের মানুষের। শুধু চা নয়, দারবিশের দোকানে পাওয়া যায় দুই দেশের ফল-মূল, চকলেট আর বিস্কুটও। আরও মজার বিষয় হলো, দুই দেশের মুদ্রা দিয়েই দাম পরিশোধ করা যায় দারবিশের দোকানে। এই দোকানকে কেন্দ্র করেই সখ্য গড়ে উঠেছে দু’দেশের স্থানীয় নাগরিকদের।
পাহাড়ি এলাকায় সবুজে ঘেরা ছায়া সুনিবিড় পরিবেশে স্থাপিত সেই চা দোকানের টানে সেখানে ছুটে আসেন দুই দেশের স্থানীয় প্রায় সব বয়সী মানুষ। দুই দেশের পর্যটকরাও ইদানিং সেই চা দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন।
শিয়া ও সুন্নি মিলিয়ে ইরাকে মুসলিম জনসংখ্যা ৯৮ শতাংশ। অন্যদিকে ইরানে প্রায় শতভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠী, যাদের ৯৫ শতাংশ শিয়া ও ৫ শতাংশ সুন্নি মতাবলম্বী।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
এসআইএস