আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত শহরে কর্মসংস্থান ও শিক্ষার অধিকারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন প্রায় ৮০ জন নারী।
বৃহস্পতিবার বিক্ষোভে উপস্থিত মারিয়াম আব্রাম আল জাজিরাকে বলেন, নারীদের কাজ করার অধিকার নিয়ে কার্যত তালেবান সরকারের কোনো উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।
২৪ বছর বয়সী এই তরুণী বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে তাকে এবং অন্যান্য নারীদের কাজে না আসতে বলা হয়। অনেকে অফিসে গেলেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
আব্রাম বলেন, তিনি এবং অন্যান্য হেরাতি নারীদের একটি দল শীর্ষ তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে নারীদের অধিকার সম্পর্কে তাদের নীতির স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছেন, কিন্তু কখনোই উপযুক্ত উত্তর পাননি।
আব্রাম বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে তালেবানদের সঙ্গে সর্বস্তরে জড়িত থাকার চেষ্টা করার পর নারীরা তাদের কণ্ঠস্বর জনসমক্ষে শোনানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
‘আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমরা দেখেছি, তারা ২০ বছর আগের তালেবানই আছে।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তালেবানের শাসনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো পরিবর্তন হয়নি, নারী শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেই।
গত মাসে আফগানিস্তানকে পুনরায় দখল করার পর থেকে তালেবান নেতৃত্ব আশ্বাস দিয়েছে, তারা নারীদের কাজ করতে এবং শিক্ষা গ্রহণের অনুমতি দেবে।
তিনি বলেন, নারীরা পুলিশ প্রধান এবং তথ্য ও সংস্কৃতি পরিচালকসহ বেশ কয়েকজন তালেবান নেতার সঙ্গে অকপটে কথা বলেছেন। তারা বলেছেন, আপনারা দখলদারদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করেছেন, আপনারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন। কিন্তু আপনারা এবার কী করতে চান এবং আমাদের ভূমিকা কী হবে?
তালেবানরা আফগানিস্তান দখল করার পর সেখানে এটিই প্রথম প্রতিবাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
নিউজ ডেস্ক