নিকানোর তোলস্তিখ মাত্রই হাইস্কুলে পড়ে। কিন্তু এ বয়সেই নিজ দেশের (রাশিয়া) ইতিহাস সম্পর্কে টনটনে ধারণা রয়েছে তার।
গালফ টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি স্কুল খোলার প্রথম দিনে পূর্বাঞ্চলীয় ভ্লাদিভস্তক শহরের একটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তার সেই বক্তব্য টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। এ সময় পুতিন ১৭০৯ সালের ‘ব্যাটল অব পোলতোভা’ বা পোলতোভার যুদ্ধকে ‘সেভেন ইয়ার্স ওয়ার’ হিসেবে বর্ণনা করেন। যে যুদ্ধকে সুইডেনের বিরুদ্ধে বিজয় দাবি করেন পিটার দ্য গ্রেট।
কিন্তু নিকানোর তোলস্তিখ তখন প্রেসিডেন্ট ভুল বলেছেন বলে তার (পুতিন) বক্তব্য সংশোধনের অনুমতি চায়। তোলস্তিখ জানায়, ওই যুদ্ধ ‘সেভেন ইয়ার্স যুদ্ধ’ ছিল না; সেটা ছিল ‘গ্রেট নর্দান ওয়ার’। ১৭০০ সাল থেকে তা স্থায়ী হয়েছিল ১৭২১ সাল পর্যন্ত।
এদিকে প্রকাশ্যে প্রেসিডেন্টের ভুল ধরার মতো ঔদ্ধত্য দেখানোয় ভীষণ খেপে যান স্কুলের অধ্যক্ষ। তিনি নিকানোর তোলস্তিখকে তিরস্কার তো করেনই, সেই সঙ্গে স্কুল থেকে বহিষ্কারও করেন।
কিন্তু পরের দিনই পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, অধ্যক্ষের এমন সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন তিনি। নিকানোর তোলস্তিখ তো প্রেসিডেন্টকে ভুল সংশোধন করে দিয়েছে। ফলে আমাদেরকে বলা হয়েছে, কোনো শিশুকেই বরখাস্ত করা হবে না। বিশেষ করে এমন মেধাবী এবং জ্ঞানসম্পন্ন শিশুকে তো নয়ই।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও নিজের ভুল বক্তব্য ধরিয়ে দেওয়ায় নিকানোর তোলস্তিখের ওপর রাগ করেননি। বরং তিনি মন্তব্য করেছেন, তার (তোলস্তিখ) মন্তব্য আমাকে কেন অপমান করবে? তার চেয়ে তো আমার কাছে এটা আনন্দের যে, রাশিয়ার কিশোর-তরুণরা নিজেদের পিতৃভূমির ইতিহাস চমৎকারভাবে জানে। এটা তো গর্বের বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২১
এমএমজেড