দীর্ঘ সময় হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিং করছিলেন গৃহবধূ। এতে বাধা দেন তার স্বামী।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। পরের দিন শুক্রবার থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি। তবে গণমাধ্যমে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
পুলিশকে ওই ব্যক্তি জানান, তার স্ত্রী মোবাইলে আসক্ত। দীর্ঘ সময় হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করেন। বৃহস্পতিবার স্ত্রী যখন হোয়াটসঅ্যাপে মগ্ন ছিলেন, তখন তিনি বাধা দিতে যান। এতেই স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ঘুষি দিয়ে তার দাঁত ভেঙে দেন। এরপর স্বামীকে লাঠি দিয়েও মারধর করেন। পরে স্বামী হাসপাতালে নিয়ে যান স্ত্রী।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সোজা থানায় যান ওই ব্যক্তি। স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নথিভুক্ত করে থিয়োগ থানার পুলিশ।
শিমলার পুলিশ সুপার মণিকা জানান, স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কেন ওই নারী এমন কাজ করলেন, তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রাথমিক তদন্তের পর বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। যেমন, কেন স্ত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে বাধা দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। কার সঙ্গে এত মন দিয়ে চ্যাট করছিলেন ওই নারী। ঘটনায় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, সব বিষয় খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পুলিশ। অভিযুক্ত নারী ও তার স্বামীকে খুব শিগগিরি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
জেএইচটি