ইনস্টাগ্রামের কারণে কিশোর-কিশোরীদের ওপর নেতিচাপক প্রভাব পড়ছে। তাদের নিজস্ব গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
তবে মার্কিন সিনেটে ফেসবুকের নিরাপত্তা প্রধান অ্যান্টিগোন ডেভিস বলেছেন, ইনস্টাগ্রাম তরুণদের ‘ইতিবাচকভাবে সাহায্য করছে’।
ইনস্টাগ্রামের নিজস্ব গবেষণায় উঠে এসেছে, কীভাবে প্ল্যাটফর্মটি শিশুদের সুস্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। সেই গবেষণার ফলাফল প্রকাশের পর বিষয়টি আলোচনায় আসে।
ইনস্টাগ্রামের প্রধান অ্যাডাম মোসেরি বলেন, কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইনস্টাগ্রামের প্রভাব খুবই সামান্য।
ফেসবুকের নিজস্ব গবেষণার ভিত্তিতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এতে বলা হয়, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের ফলে শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে কিশোরীদের মধ্যে নিজের শরীর ও শারীরিক গঠন নিয়ে আত্মসম্মানবোধের অভাব দেখা দিচ্ছে।
অ্যান্টিগোন ডেভিস ওই সময় কমিটিকে বলেন, আমাদের প্ল্যাটফর্মকে আরও ভালো করার জন্য আমরা এই গবেষণাটি পরিচালনা করি। এর মাধ্যমে খারাপকে কমিয়ে এনে ভালোটাকে সর্বোচ্চ করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে কোথায় উন্নতি করা যায়, সেটাই আমার শনাক্ত করার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অর্থপূর্ণ মিথস্ক্রিয়ার একটি জায়গা হোক। এখানে যদি মানুষ নিরাপদ বোধ না করে তবে আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না।
তবে মার্কিন সিনেটের বাণিজ্য, বিজ্ঞান এবং পরিবহন উপকমিটির সভাপতি রিচার্ড ব্লুমেন্টাল বলেন, আমরা এখন জানি যে, শিশুদের সুরক্ষার জন্য এটি অনিবার্যভাবে অপরাধের জন্য দোষী। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ নিজেদের জবাবদিহি করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এই প্রশ্নটি আমাকে তাড়া করে যে, কীভাবে আমরা বা বাবা-মা বা কেউ ফেসবুকে বিশ্বাস করতে পারি।
শুনানিতে কমিটির প্রশ্নের উত্তর দিতে বারবার ব্যর্থ হয়েছিলেন অ্যান্টিগোন ডেভিস। তিনি বলেছিলেন, বিষয়গুলো ফেসবুক টিমের সঙ্গে চেক করে দেখতে হবে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অস্বীকার
ব্লগে গবেষণার প্রধান প্রতিতি রায় চৌধুরী বলেন, ইনস্টাগ্রামে কিশোরীরা ‘বিষাক্ত’ হচ্ছেন, গবেষণাতে সেটা দেখানো হয়নি। গবেষণাটি আসলে দেখিয়েছে যে, অনেক কিশোর-কিশোরীর কাছ থেকে আমরা শুনেছি, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করা তাদের সাহায্য করে যখন তারা কঠিন সময় এবং সমস্যার মুখোমুখি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২১
জেএইচটি