মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়েছে চাকরি ছাড়ার হিড়িক। দেশটির শ্রম বিভাগের সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, চলতি বছরের আগস্ট মাসে ৪৩ লাখ কর্মী চাকরি ছেড়েছেন, যা দেশটির মোট চাকরিজীবীর দুই দশমিক নয় শতাংশ।
বুধবার (১২ অক্টোবর) ওয়াশিংটন পোস্টসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য। যদিও আগস্টে দেশটিতে নতুন চাকরি সৃষ্টি হয়েছে এক কোটি চার লাখ। যা জুলাইয়ে এক কোটি ১১ লাখ ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চাকরি ছাড়ার এই উচ্চহার আমেরিকার কর্মীরা তাদের নতুন চাকরির সম্ভাবনা সম্পর্কে কতটা আত্মবিশ্বাসী তা ইঙ্গিত করে। তবে কোভিড-১৯ এর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা, শিশুদের যত্নের ব্যবস্থার অভাব এবং মার্কিন সরকারের উদ্দীপক ডলারে পূর্ণ সঞ্চয়ী হিসাবও তাদের চাকরি ছাড়ার কারণ হতে পারে। কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে প্রায় আট লাখ ৯২ হাজার কর্মী চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন, যারা বাসস্থান এবং খাদ্য পরিষেবা খাতে গ্রাহকদের সঙ্গে কাজ করতেন।
এর আগে জুলাই মাসে এই খাতে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সংখ্যা ছিল এক লাখ ৫৭ হাজার। বর্তমানে চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়া এসব মানুষ এবং শূন্যপদের সংখ্যা দেশটির জাতীয় অর্থনীতির গতি ফিরিয়ে আনার পথে বড় কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ে লকডাউনে দুই কোটি ২০ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে এখনও প্রায় ৫০ লাখ মানুষ চাকরি পায়নি। যদিও এক জরিপে দেখা গেছে, ৫১ শতাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসার মালিক জানিয়েছেন, তাদের প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ আছে। কিন্তু সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা পূরণ করার জন্য লোক পাওয়া যাবে না। এছাড়াও কর্মীদের আকর্ষণ করতে কোম্পানিগুলো জয়েনিং বোনাস এবং বেতন বাড়ানোর মতো প্রণোদনা দিয়ে আসছে। প্রায় ৪২ শতাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসার মালিক জানিয়েছেন, তারা গতমাসে বেতন ভাতা বাড়িয়েছেন। এটি আগস্ট থেকে এক পয়েন্ট ওপরে এবং ৪৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের চাকরির বাজার কিছু সম্ভাব্য বিপদের সম্মুখীন হতে চলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২১
এনএসআর