লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিচারপতি তারেক বিতারকে বন্দর বিস্ফোরণের তদন্ত থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়েছে। এতে কমপক্ষে ছয়জন নিহত এবং ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) হিজবুল্লাহ ও আমল আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভে এ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে লেবানিজ রেড ক্রসের বরাত দিয়ে জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। তবে কে বা কারা এই গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছেন তা জানা যায়নি।
এ ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি লেবাননকে সহিংসতার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে সতর্ক করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈরুতের জাস্টিস প্যালেসের সামনে বিচারক তারেক বিতারের পদত্যাগ চেয়ে হিজবুল্লার শত শত সমর্থক ও মিত্র কালো জামা পরে বিক্ষোভ করছিলেন। এ সময় জাস্টিস প্যালেসের পাশে তাইয়াউনের কয়েকটি ভবনের ওপর থেকে গুলির শব্দ আসতে থাকে। বন্দুকধারীরা ছাদ থেকে বিক্ষোভে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন।
ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এলাকাটি ঘিরে ফেলে। এছাড়াও ওই এলাকার আশপাশে এবং প্রবেশপথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দুকধারীদের ধরতে তল্লাশি অভিযান চলছে।
২০২০ সালে বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হয় সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষ। বন্দরের গুদামে কয়েক বছর ধরে অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে রাখা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরিত হয়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল।
হিজবুল্লাহর দাবি, বিস্ফোরণের ঘটনায় বিচারপতি তারেক বিতার যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তা বিতর্কিত। তিনি সাবেক সরকারের মন্ত্রীদের বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছেন।
এর আগে অবহেলার অভিযোগে সাবেক সরকারের পাঁচ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিলেন বিচারপতি বিতার। ওই পাঁচজন বিতারের এই নির্দেশনা বাতিল চেয়ে আদালতে যান। আদালত তাদের সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২১
এনএসআর