২০ বছরে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে খুন করেছেন। বিষয়টি কেউ বুঝতে পারেনি।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে ঘটেছে এমন ঘটনা। অভিযুক্ত লীলু অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, কিলারদের সঙ্গে নিয়ে লীলু তার ভাই, দুই সৎ মেয়ে এবং তার ভাইয়ের দুই সন্তানকে খুন করেন।
গাজিয়াবাদ (রুরাল) পুলিশ সুপার ইরাজ রাজা বলেন, এতদিন ত্যাগী পরিবার বুঝতেই পারেনি যে লীলু এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ জেনেছে, মূলত সম্পত্তির লোভেই তিনি একের পর এক পরিবারের সদস্যকে খুন করেছেন। তার ছেলে বিভোর, সে যাতে গোটা সম্পত্তি পায় এ কারণে সব উত্তরাধিকারকে একে একে সরিয়ে ফেলার ছক কষেছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভাই সুধীরকে প্রথম টার্গেট করেছিলেন লীলু। ২০০০ সালে হঠাৎ নিখোঁজ হন সুধীর। এরপর সুধীরের স্ত্রী অনিতাকে বিয়ে করেন লীলু। সুধীরের দুই মেয়েকেও তিনি নিজের কাছে রাখতেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে লীলু স্বীকার করেন, দেশি পিস্তল দিয়ে সুধীরকে তিনি খুন করেছিলেন। এরপর সুধীরের সম্পত্তির পাশাপাশি তার স্ত্রীকেও তিনি পেয়ে যান। কিন্তু সম্পত্তির উত্তরাধিকার তো সুধীরের দুই মেয়ে। তাই ২০০৩ সালে সুধীরের বড় মেয়ে পায়েলকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেন লীলু। ওই সময় লীলু জানিয়েছিলেন, পোকার কামড়ে মারা গেছে পায়েল।
পায়েলের বোন পারুলকেও শ্বাসরোধ করে খুন করেন লীলু। এলাকায় রটিয়ে দেন, অন্য কারও সঙ্গে পালিয়ে গেছে পারুল। স্থানীয় খালে তিনি পারুলের মরদেহ ফেলে দেন। এরপর ত্যাগীর ১৪ বছরের সন্তান নীশুকেও ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুন করে খালে ফেলে দেন লীলু। তখন থানায় এফআইআর করেছিলেন ত্যাগী।
ত্যাগীর বড় ছেলে রীশুকেও খুন করে লীলু। তবে এরপর থেকে লীলুর ওপর সন্দেহ হতে থাকে পরিবারের সদস্যদের। এরপরই তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে লীলুকে। গ্রেফতারের সময় লীলু শুধু একটি কথাই বলেছিল, ‘আমি খুব দুঃখিত’।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২১
জেএইচটি