বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে সাপের কামড় খান সুজন থান্ডার (২৬)। অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল তাকে; কিন্তু পথে মৃত্যু হয়।
ওঝার কাছে নিয়ে গেলে মরদেহ ১৫ ঘণ্টা পানিয়ে চুবিয়ে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু তাতেও ফিরে আসা হয়নি সুজনের। ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঘটনাটি ঘটে। পরে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি ২৪ ঘণ্টার খবরে বলা হয়েছে, বীরভূমের নানুরের হোসেনপুর গ্রামে বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসল করতে নামে সুজন। এ সময় সাপে কাটে তাকে। কিছুক্ষণ পর তার মুখ থেকে ফেনা বের হতে থাকে। এ ঘটনা থেকে স্থানীয় কয়েকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু পথেই সুজন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এ সময় গ্রামবাসীরা সুজনের পরিবারকে বলে ওঝার কাছে যেতে। এতে হয়ত সুজন বেঁচে যেতে পারেন। পরে মৃতের পরিবার চন্দ্রমোহন দাস নামে এক ওঝাকে ডেকে আনেন। তার কথায় মাটি খুঁড়ে পানি ঢেলে সুজনের মরদেহ ১৫ ঘণ্টা ফেলে রাখা। সম্পূর্ণ শরীর পানিতে তলিয়ে মাথা বাইরে রাখা হয়।
এ খবর পেয়ে হোসেনপুর গ্রামে যায় পুলিশ। কিন্তু গ্রামবাসী পুলিশকে সুজনের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেয়। সংবাদকর্মীরা গেলে তাদেরও বাধা দেওয়া হয়। যদিও পরে সুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সুজনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে। চন্দ্রমোহন দাস ওঝাকে খোঁজা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যের বিজ্ঞানমঞ্চের সুপ্রিয় সাধু এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২
এমজে