মিয়ানমারে সহিংসতার সময় ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়ানোয় উচ্ছেদ হওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে অবশ্যই ফেসবুকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এমনটি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, অনলাইনে ব্যাপক ঘৃণামূলক বক্তব্য ও প্রচারণার কারণে মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা তাদের বাড়িঘর থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছেন এবং এ কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে মেটাকে।
অ্যামনেস্টি বলছে, মিয়ানমারের অ্যাক্টিভিস্টরা ২০১২ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকের ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়ানো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর নির্যাতন শুরু হলে মিয়ানমার থেকে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
ভিকটিমদের অ্যাসোসিয়েশন এবং মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ফেসবুকের মাধ্যমে (রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে) সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা বলছেন, এখানে চরমপন্থি বিভিন্ন কন্টেন্ট (ভিডিও) চালানো হয় যা ক্ষতিকারক এবং বিভ্রান্তি ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যকে উৎসাহিত করে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, নির্যাতনের সময়গুলোতে ফেসবুকের অ্যালগরিদমগুলো রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘৃণার ঝড়কে তীব্র করে তুলেছিল।
এ নিয়ে ফেসবুকের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে ফেসবুকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগ দায়ের করা হয় গত ডিসেম্বরে। দেশটির ক্যালিফোর্নিয়ায় দায়ের করা ওই অভিযোগে ফেসবুকের হোম স্টেট এবং এর মূল কোম্পানি মেটা’র কাছে শরণার্থীরা ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।
তখন মেটার পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিয়ানমারে ঘৃণামূলক বক্তব্য নিয়ন্ত্রণে তারা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে অ্যামেনেস্টি বলছে এই পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়।
সূত্র: আল জাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২
ইআর