ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ইসলামে ভিন্ন ধর্মের নাগরিকদের সুরক্ষার কথা বলা আছে

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৭
ইসলামে ভিন্ন ধর্মের নাগরিকদের সুরক্ষার কথা বলা আছে নবী মুহাম্মদ (সা.) খ্রিস্টানদের ক্ষতি চাননি, এমনকি তাদের ব্যক্তিগত জীবন বা ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ বা সীমালঙ্ঘন করেননি। আর এ কারণে ইসলাম দ্রুত প্রসার লাভ করেছে

মুসলমানদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বর্ণিত ও যাপিত জীবনাদর্শ কখনও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী নিপীড়নের নীতিকে সমর্থন করে না বলে দাবি করা হয়েছে এক গবেষণায়।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক দৈনিক ইনডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়, গবেষকরা ৬২২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মানবজাতির জন্য নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর বর্ণিত জীবনাদর্শ- যা বিভিন্নভাবে লিখে রাখা হয়েছে তা নিয়ে গবেষণা করেন।  

গবেষণাপত্রে বলা হয়, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মুসলিম ‘উম্মায়’ (সমাজে) খ্রিস্টানরাও বসবাস করত এবং তাদের সব ধরনের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দেওয়া হতো।

গবেষকদের একজন ক্রেইগ কনসিডাইন (Craig Considine) বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) বর্ণিত মুসলিম দেশে একাধিক ধর্মের চর্চা এবং নাগরিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে।  

তিনি বলেন, ‘এ গবেষণাপত্রে পরিষ্কারভাবে দেখানো হয়েছে, হাল সময়ে কথিত ইসলামিক স্টেট যেভাবে খ্রিস্টানদের সঙ্গে নিষ্ঠুর ও বৈষম্যমূলক আচরণ করছে; তা মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এমনকি প্রকৃত মুসলমানদের এটা আদর্শও নয়। ’

যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সাসের রাইস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. কনসিডাইনের বিশ্বাস, মুহাম্মদ (সা.) বর্ণিত জীবনাদর্শ নিয়ে নতুন করে এ গবেষণা বিশ্বজুড়ে যে মুসলিম বিদ্বেষ দানা বাঁধতে শুরু করেছে তা সমাধানে ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেন, ‘এ গবেষণা চরমপন্থি ইসলাম এবং ইসলামভীতির মতো রোগে আক্রান্তদের এক ধরনের ওষুধ হিসেবে কাজ করবে। তার (মুহাম্মদের) বার্তা বিশ্বজুড়ে সমবেদনা ও শান্তির আলো ছড়াবে। এটিই এখন আমেরিকা এবং বিশ্বজুড়ে বর্তমান সমাজব্যস্থায় অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন। ’

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা উপাসনালয় এবং কয়েক শতাব্দী আগে ছাপা হওয়া বই থেকে গবেষকরা মুহাম্মদ (সা.) বর্ণিত জীবনাদর্শ সম্পর্কিত নথি খুঁজে পেয়েছেন বলে জানান ড. কনসিডাইন।  

ইরাক ও সিরিয়ার মতো জায়গায় খ্রিস্টানদের ওপর যে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হচ্ছে, তাতে সত্যিকারের ধর্মগুরু এবং ধর্মপ্রাণরা নতুন করে আবার নবী মুহাম্মদের (সা.) জীবনাদর্শের মধ্যে এর সমাধান খুঁজছেন- বলে জানান এই গবেষক।  

তিনি এটাও বলেন, নবী মুহাম্মদ (সা.) খ্রিস্টানদের ক্ষতি চাননি, এমনকি তাদের ব্যক্তিগত জীবন বা ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপ বা সীমালঙ্ঘন করেননি। আর এ কারণে ইসলাম দ্রুত প্রসার লাভ করেছে। ’

-ইনডিপেনডেন্ট অবলম্বনে

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।