ভাগ্য নির্ধারণের এই রাতে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে বিভিন্ন ইসলামি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার মুসল্লি।
মাগরিবের পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বায়তুল মোকাররমে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বৃহস্পতিবার (১১ মে) বাদ মাগরিব থেকে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে রাতব্যাপী অনুষ্ঠানমালা আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে কুরআন তিলাওয়াত, হামদ-না’ত, ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ, কিয়াম ও বিশেষ মোনাজাত।
রাত নয়টায় এশার নামাজের পর নফল ইবাদত শুরু করেন মুসল্লিরা। কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, নফল নামাজসহ বিভিন্ন ইবাদতে অংশ নিয়েছেন ছোট, বড়, বৃদ্ধ মুসল্লি।
পবিত্র এই রাতটি যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে।
বায়তুল মোকাররমে পবিত্র রাতে সুষ্ঠুভাবে ইবাদত-বন্দেগির জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রবেশপথে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে। আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ রয়েছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি থেকে জানা যায়, সন্ধ্যায় ‘শবে বরাতের ফযিলত’ শিরোনামে ওয়াজ পেশ করা হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টায় ‘ইবাদত ও দোয়ার গুরুত্ব’ শিরোনামে বয়ান করেছেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মওলানা মুহিউদ্দীন কাসেম। রাত সাড়ে ১১টায় ‘শবে বরাত ও রমযানের তাৎপর্য’ শিরোনামে ওয়াজ পেশ করেছেন ঢাকার তেজগাঁওস্থ মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মওলানা মো. আবদুর রাজ্জাক।
রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ‘যিকিরের গুরুত্ব ও ফযিলত’ শিরোনামে ওয়াজ করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতী এহসানুল হক জিলানী। রাত ১টা ৫৫ মিনিটে ‘তাহাজ্জুদের গুরুত্ব ও ফযিলত’ শিরোনামে ওয়াজ করবেন রাজধানীর তেজগাঁও রেলওয়ে জামে মসজিদের খতীব ড. মওলানা মুশতাক আহমদ।
ফজরের নামাযের পর আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
এদিকে, ব্যাপক সংখ্যক মুসল্লির আগমনকে কেন্দ্র করে মসজিদের সামনে আতর-খুশবু, টুপি, তসবি, জায়নামাজের পসরা বসিয়েছেন দোকানিরা। মসজিদের সামনে বিপুল সংখ্যক ভিক্ষুকের উপস্থিতি দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএম