১শ’ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব জানা গেছে।
৩ তলা বিশিষ্ট এই মসজিদের ভেতরে এবং বারান্দায় একত্রে নামাজ পড়তে পারেন প্রায় হাজারখানেক মুসল্লি।
জুমার নামাজের সময় মুসল্লি সংখ্যা আরও বাড়ে।
২০১৬ সালের রমজান মাসে প্রায় ৩শ’ মুসল্লি নিয়মিত তারাবির নামাজ আদায় করেছেন।
এ বছর মসজিদের ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করার পাশাপাশি কিছু সংস্কার ও অজুখানার আধুনিয়াকায়ন করা হয়েছে। তাই মসজিদ কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, এবার মুসল্লির সংখ্যা বাড়তে পারে।
মমিন বাড়ী মসজিদের পাশ্ববর্তী পূর্ব গুলিশা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আমিনুল হক মজুমদার বাংলানিউজকে জানান, তার বয়স এখন ৭৫ বছর। ছোটবেলা থেকেই তিনি এই মসজিদ দেখে আসছেন।
ঐতিহাসিক এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন মরহুম ক্বারী ইবরাহিম (রহ.)।
কুমুরুয়া, হরিণা ও গুলিশা গ্রামসহ আশপাশের মানুষ এই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন।
মমিন বাড়ী মাদরাসার শিক্ষক সাজেদুর রহমান জানান, তিনি গত ৭ বছর ধরে এই মসজিদে তারাবি পড়েন। মসজিদের হাফেজদের কোরআন পড়া শ্রুতিমধুর এবং ব্যবস্থাপনা ভালো থাকার কারণে আশপাশের গ্রাম থেকে মুসল্লিরা এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসেন।
মসজিদের খতিব ও ইমাম হাফেজ মাওলানা ক্বারী আশরাফ আলী খান বাংলানিউজকে বলেন, রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যে দু’জন হাফেজ নিয়োগ করা হয়েছে। হাফেজ মো. হুজাইফা ও হাফেজ মো. ওমর ফারুক এ বছর তারাবি পড়াবেন। হাফেজ হুজাইফা গত বছরও এখানে তারাবি পড়িয়েছেন এবং ওমর ফারুক এবারই প্রথম।
মমিনবাড়ী জামে মসজিদে জেনারেটরের ব্যবস্থা রয়েছে। মসজিদ কর্তৃপক্ষের আশা, আল্লাহর ইচ্ছায় এবার মুসল্লিরা সুন্দর পরিবেশে তারাবির নামাজ আদায় করতে পারবেন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৭
এমএইউ/