হজরত শাহ্ছুফী খান বাহাদুর আহছানউল্লা (রহ.)-এর নলতা পাক রওজা শরীফে প্রতিদিন ১০ হাজার মানুষের ইফতারের আয়োজন করা হয়।
এর মধ্যে ছয় হাজার মানুষ রওজা শরীফ প্রাঙ্গণে নির্মিত ছাউনির নিচে বসে একত্রে ইফতার করেন।
কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশ্বে এটিই ইফতারের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ আয়োজন।
দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষসহ স্থানীয়রা অংশ নেন এই ইফতার আয়োজনে।
রোজাদারদের জন্য এখানে প্রতিদিন ১২ মণ দুধ দিয়ে তৈরি ফিরনি, ছোলা ভুনা, কলা, ডিম, খেজুর, সিঙাড়া ও চিড়ার ব্যবস্থা করা হয়।
শুধু তাই নয়, সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ লাভে নলতা দরবারের শাহী মসজিদে ইতেকাফে বসেন ৫৫০ জন থেকে ৬০০ মুসল্লি। যাদের খাওয়া-দাওয়া ও ইফতারের ব্যবস্থাও এখানে করা হয়।
নলতা মসজিদে প্রতিদিন তারাবিতে অংশ নেন দুই থেকে তিন হাজার মুসল্লি। রয়েছে পুরুষের পাশাপাশি মহিলাদের নামাজের আলাদা ব্যবস্থা।
নলতা শরীফ প্রাঙ্গণে টিনের ছাউনি তৈরিরত শ্রমিক আজিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, রোজাদারদের খেদমতের জন্য আমরা দিন-রাত পরিশ্রম করছি।
দরবারের ইফতারসহ সব কিছুরই ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকে নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশন কর্তৃপক্ষ।
নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের ট্রেজারার মো. ইউনুস ও হিসাবরক্ষক এবাদুল হক বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবছর রমজানে ইফতার, তারাবি ও ইতেকাফ উপলক্ষ্যে নলতা রওজা শরীফে মুসল্লিদের মিলনমেলা বসে। এ জন্য প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁশ-খুঁটি দিয়ে টিনের ছাউনি তৈরি করা হয়।
আর প্রতিদিন ইফতারিতে খরচ গড়ে আড়াই লাখ টাকা। ১৯৫০ সাল থেকেই চলছে এই আয়োজন। দিনে দিনে এর ব্যাপ্তি আরও বাড়ছে। হুজুরের ভক্তদের অনুদানেই বহন করা হয় এই ব্যয়ভার।
তারা আরও বলেন, সৌদি আরবের পর নলতা শরীফে ইফতারের আয়োজনের চেয়ে বড় আয়োজন আর কোথাও হয় বলে আমাদের জানা নেই।
তারাবির প্রস্তুতি সম্পর্কে তারা জানান, হাফেজ হাবিবুর রহমান ও হাফেজ আশিকুর রহমান নামে দু’জন হাফেজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে হাফেজ হাবিবুর রহমান ১৬ বছর ধরে ও হাফেজ আশিকুর রহমান ৪ বছর ধরে এখানে তারাবি পড়াচ্ছেন।
মুসল্লিদের সুবিধার্থে বিদ্যুতের পাশাপাশি জেনারেটরের ব্যবস্থাও রয়েছে।
কথা হয় হাফেজ হাবিবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, তারা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়মানুযায়ী তারাবিতে প্রথম ছয় দিন দেড় পারা করে এবং পরবর্তীতে সাতাশ রোজা পর্যন্ত এক পারা করে কোরআন তেলাওয়াত করবেন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
এমএইউ/