সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজ্য দুবাইয়ের অর্থায়নে ও নিউ ইয়র্কের গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডিনার স্ট্যান্ডার্ডের সহায়তায় এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে জরিপভিত্তিক প্রতিষ্ঠান থমসন রয়টার্স।
মুসলিম প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে ২০১৫ সালে ভারতের ভোক্তারা ৪৭০ কোটি ডলারের প্রসাধনী ব্যবহার করেছেন।
প্রসাধনী ব্যবহারের এই তালিকায় ভারতের পরে ৩ নম্বরে আছে রাশিয়া। দেশটিতে ২০১৫ সালে ৩৫০ কোটি ডলারের প্রসাধনী ব্যবহার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া আলোচ্য সময়ে ৩৩০ কোটি ডলারের প্রসাধনী ব্যবহার করেছে দেশটির ভোক্তারা। তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে তুরস্ক ও মালয়েশিয়া। দেশ দুইটিতে যথাক্রমে ৩১০ কোটি ডলার ও ২৮০ কোটি ডলারের মুসলিম প্রসাধনী ব্যবহূত হয়েছে।
বাংলাদেশ মুসলিম প্রসাধনীর ষষ্ঠ বৃহত্তম বাজার। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৫ সালে বাংলাদেশের মুসলিম প্রসাধনীর ভোক্তারা ২৫০ কোটি ডলারের প্রসাধনী ব্যবহার করেছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৫ সালে এসব প্রসাধনীর ৪০ শতাংশই ব্যবহূত হয় অমুসলিম দেশে। অমুসলিম দেশে ব্যবহূত এই মুসলিম প্রসাধনীর সাকুল্য বাজারদর প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার। আর ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহায়তার জোট ওআইসিভুক্ত দেশগুলোতে ২০১৫ সালে মুসলিম প্রসাধনী ব্যবহূত হয় মোট ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৫ সালে সারা বিশ্বের ১০ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের প্রসাধনী চাহিদার মধ্যে শুধু ওআইসিভুক্ত দেশগুলো আমদানি করেছে ১ হাজার ২৭০ কোটি ডলারের মুসলিম প্রসাধনী।
স্টেট অব দ্য গ্লোবাল ইসলামিক ইকোনমিক রিপোর্ট অনুসারে সারা বিশ্বের মুসলিমরা ২০১৫ সালে মোট ৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের প্রসাধনী ব্যবহার করেছে।
প্রতিবেদনে আশা করা হয়েছে, ২০২১ সাল নাগাদ মুসলিম বিশ্বে প্রসাধনী ব্যবহারের ২০১৫ সালের তুলনায় ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮ হাজার ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
এমএইউ/