ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ডিবি কর্মকর্তাসহ চারজনের নামে মামলার আবেদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
ডিবি কর্মকর্তাসহ চারজনের নামে মামলার আবেদন

ঢাকা: পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নির্যাতন ও ৭৬টি চেকে জোর করে সই নেওয়ার অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ চারজনের নামে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।  

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে আতিকুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী এ মামলার আবেদন করেন।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে এ বিষয়ে আদেশের জন্য অপেক্ষমান রেখেছেন।

মামলায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অর্গানাইজড ক্রাইম প্রিভেনশন ইউনিটের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার নাজমুল হককে আসামি করার আর্জি জানানো হয়েছে।  

এছাড়া ডিবি পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম, সাভারের জালেশ্বরের সাইদুর রহমান হাবিব, উত্তরার ১১ নম্বর সেকটরের ২/১ নম্বর সড়কের ৮ নম্বর বাড়ির মুকাররাম হোসেন জিমি নামে এক ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়।

আতিকুর রহমানের আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার বাদী আতিকুর রহমান উত্তরার গোল্ডেন টাইমস সোয়েটার অ্যান্ড স্যুয়িং লিমিটেড এবং এএসআর কম্পিউটারাইজড সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক ও চেয়ারম্যান। সাইদুর রহমান হাবিবের সঙ্গে তার ব্যবসা ছিল। তার কারণে বাদীর ১৮৪ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। ক্ষতিপূরণ চেয়ে তার নামে মামলা করা হয়। এর ২৬ দিন পর ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর সাইদুর রহমান প্রতারণার অভিযোগ এনে আতিকুর রহমানের নামে মামলা করেন। মামলার তদন্ত পায় ডিবি পুলিশ।  

২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ৬, ৭ ও ৮ জানুয়ারি তাকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়। এরপর ৯ তারিখ আদালতে আনা হয়। ১২ জানুয়ারি তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৪ তারিখে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তার কাছে ৬০ কোটি টাকা দাবি করা হয়, যা সাইদুর রহমানকে দিতে হবে। নির্যাতন সইতে না পরে আতিকুর রহমান ৬০ কোটি টাকা দিতে বাধ্য হয়। সাইদুর রহমান তাকে জামিন করিয়ে নেন। ১৫ দিনের মধ্যে তাকে ১৫ কোটি টাকা দিতে বলা হয়। অন্যথায় জামিন বাতিলের হুমকি দেওয়া হয়। ২৯ জানুয়ারি তার অ্যাকাউন্ট থেকে ২ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছি। আদালত নথি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে আরও শুনানি গ্রহণ করবেন। এরপর এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।

মামলার আবেদনে পুলিশ কর্মকর্তাদের নামে ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের’ অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া অন্যদের ‘পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগী’ আখ্যায়িত করে তাদের নামে ‘ব্যবসার ছদ্মবেশে প্রতারণার’ অভিযোগ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
কেআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।