ঢাকা: ভেরিফায়েড পেজটি পুনরায় চালু করা, ভুয়া পেজ ও প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন বন্ধে ব্যবস্থা এবং প্রতারকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে সরকার ও ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন ডা. মুহাম্মাদ জাহাঙ্গীর কবির।
মঙ্গলবার (২০ মে) তার পক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক, মেটা প্ল্যাটফর্ম ইন্ক (ফেসবুক) এবং ফেসবুকের কান্ট্রি রিফ্রেজেন্টেটিভ বরবার এ নোটিশ পাঠান আইনজীবী মো. তারিকুল ইসলাম।
নোটিশ পাঠানোর পর আইনজীবী তারিকুল ইসলাম বলেন, ১শ’টি আইডি ভুয়া রয়েছে। সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা না নিয়ে ভেরিফায়েড আইডি ডিজঅ্যাবল করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য জিডিও করা হয়ছে। গত ১২ মে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান বরাবর একটি আবেদনও দেন ডা. মুহাম্মাদ জাহাঙ্গীর কবির।
‘ফেসবুক পেজ পুনরুদ্ধার ও ভুয়া পেজ বন্ধ করার আবেদন’ শীর্ষক ওই আবেদনে ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জনস্বাস্থ্য সচেতনতা ও ওষুধমুক্ত জীবনযাপন নিয়ে কাজ করে আসছি। আমার পরিচালিত ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ যেখানে তিন দশমিক ছয় মিলিয়নের বেশি মানুষ যুক্ত ছিলেন। সেই পেজ গত ২৪ এপ্রিল হঠাৎ বন্ধ করে দেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ তারিখে বাড্ডা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। আমার বিশ্বাস, এই পেজের মাধ্যমে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বিনামূলো স্বাস্থ্য শিক্ষা পেয়ে উপকৃত হচ্ছিলেন।
এদিকে একই নামে বহু ভুয়া পেজ ও বিজ্ঞাপন চালু রয়েছে, যেগুলো আমার নাম-ছবি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করছে। এসব প্রতারকদের কারণে আমার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে।
ডা. জাহাঙ্গীর কবির ভেরিফায়েড পেজটি পুনরায় চালু করা, ভুয়া পেজ ও প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন বন্ধে ব্যবস্থা এবং প্রতারকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করতে বিটিআরসি কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করেন। তাতে সাড়া না পেয়ে তিনি আইনি নোটিশ দেন।
নোটিশে সাত দিনের মধ্যে ১২ মে দেওয়া আবেদন অনুসারে ব্যবস্থা চেয়েছে। অন্যথায় তিনি হাইকোর্ট বিভাগে রিট করবেন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইএস/এএটি