জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে বুধবার (৯ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদেন তিনি।
আদালতে ওঠানোর সময় পলকের মাথায় হেলমেট, পরনে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং হাতে হাতকড়া ছিল। এজলাসে ঢোকার সময় স্বজনদের দেখিয়ে কিছুটা আবেগঘন ইঙ্গিতও করেন তিনি। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা এজলাস কক্ষের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন।
যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া দুটি হত্যা মামলায় পলকের পাশাপাশি সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আরও ৮ সাবেক মন্ত্রী-এমপিকে গ্রেপ্তারের আবেদন করে পুলিশ। তারা হলেন—প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এবং যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন এবং গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দেন। পরে তাদের সবাইকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, ১৫ আগস্ট রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় পলককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
কেআই/এমজে