ঢাকা: প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির ঘটনায় দুদকের করা পৃথক তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ও শেখ রেহেনার তিন সন্তানের বিরুদ্ধে সাতজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিন মামলায় আলাদাভাবে তাদের নয়টি সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আসামিরা পলাতক থাকায় কোনো জেরা হয়নি।
সাক্ষ্য দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন, পৌর কর শাখার মুদ্ররাক্ষিক কাম কম্পিউটার অফিস সহকারী রেসমা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পৌর কর শাখার রেভিনিউ সুপারভাইজার দেওয়ান মো. সাঈদ, পৌর কর শাখার কাম হিসাবরক্ষক উচ্চমান সহকারী তৈয়বা রহিম, ডিএসিসির হিসাব সহকারী ফারুক সরদার, উপ-কর কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক আসাদুজ্জামান ও উপ-কর কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম চিশতী।
তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামী ৩০ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।
শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা ছাড়াও আসামিদের মধ্যে রয়েছে, শেখ রেহেনার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক।
এর আগে, গত ৩১ জুলাই এ তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত। এরপর গত ১৩ আগস্ট তিন মামলার তিন বাদী, ২৮ আগস্ট তিনজন করে নয়জন, ৪ সেপ্টেম্বর পাঁচজন করে ১৫ জন, ২১ সেপ্টেম্বর নয়জন এবং ৬ অক্টোবর আরও নয়জন সাক্ষ্য দেন।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ছয় মামলা করে দুদক।
সবগুলো মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন তারা। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার ছয়টি প্লট তাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
কেআই/আরআইএস