চকবাজারে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার এজাহারভুক্ত দুই আসামি মো. আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনিরের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১৩ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ রিমান্ড আদেশ দেন।
এর আগে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে আসামিদের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক দুই আসামির প্রত্যেককে চারদিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।
এর আগে সোহাগ ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোববার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজিব ও সজিব। তারা দুজনই এ মামলার এজহারনামীয় আসামি। ঢাকা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে তারা গ্রেপ্তার হন। এ নিয়ে সোহাগ হত্যার ঘটনায় মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও পরে এলোপাতাড়িভাবে পাথর নিক্ষেপ করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ সময় লাশের ওপর তাদের লাফাতে দেখা যায়।
গত ১১ জুলাই পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এজাহারভুক্ত আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিনকে (২২) গ্রেপ্তার করে। এ সময় গ্রেপ্তার তারেক রহমান রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) আলমগীর (২৮) ও মনির ওরফে ছোট মনির (২৫) নামে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
গত শনিবার (১২ জুলাই) রাতে মো. টিটন গাজী (৩২) নামে আরও এক এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এ নিয়ে মোট সাতজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কেআই/এমজে