কুমিল্লার গোমতী নদীর জায়গায় থাকা ৫০৮টি অবৈধ দখল-স্থাপনা ছয় মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
প্রায় ১৪ বছর আগে এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে রোববার (৩ আগস্ট) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
তিনি জানান, কুমিল্লার বৃহৎ নদী গোমতীর দখল ও উচ্ছেদের বিষয় বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে ২০১১ সাথে জনস্বার্থে রিট দায়ের করা হয়।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২ মার্চ রুল জারি করেন। পাশাপাশি গোমতী নদীর জরিপ করে সীমানা নির্ধারণ করে অবৈধ স্থাপনা ও দখলদারদের তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক জরিপ করে ৬২৩টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করেন এবং তার মধ্যে ২৬৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে আদালতকে অবহিত করেন।
সেই রুলের শুনানির জন্য সম্প্রতি আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
শুনানিতে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, জলাধার আইন ২০০০, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ ও পানি আইন ২০১৩ এর বিধান অনুসারে নদীর জায়গা ভরাট-দখল আইনগত অপরাধ। কিন্তু তালিকা তৈরি করে গোমতী নদীর অবৈধ দখল-স্থাপনার নাম ঠিকানা থাকলেও শত শত দখলদারদের এখনও উচ্ছেদ করা হয়নি।
আদালত শুনানি শেষে গোমতী নদীর জায়গায় থাকা ৫০৮টি অবৈধ দখল-স্থাপনা আগামী ছয় মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত অপর এক নির্দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে তিন মাসের মধ্যে ডেজিংয়ের প্রস্তাবনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ বিষয়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন। পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মনিটরিং করতে বলেছেন। যাতে কেউ গোমতী নদীতে দখল-মাটি ভরাট করতে না পারে।
ইএস/এএটি