ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১৯ সফর ১৪৪৭

আইন ও আদালত

খায়রুল হকের শুনানিতে হট্টগোলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৩০, আগস্ট ১৪, ২০২৫
খায়রুল হকের শুনানিতে হট্টগোলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের মামলা বাতিল ও জামিন শুনানিতে হট্টগোলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতি, বার কাউন্সিল ও সুপ্রিম কোর্ট বারের প্রতি দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট বারের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তোলা হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের সভাপতি জয়নুল আবেদীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব কায়সার কামাল।

জয়নুল আবেদীন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় ও অন্যান্য রায় জালিয়াতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা চলমান। গত ১১ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের একটি এজলাসে যা ঘটেছে, তা বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। গ্রেপ্তারের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন ও তদন্তাধীন মামলা প্রত্যাহারের আবেদন শুনানিকালে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দ আদালতে অপেশাদার আচরণ করেছেন।

জয়নুল আবেদীন বলেন, পূর্ব পরিকল্পনায় হট্টগোল সৃষ্টি করে বিচারকার্যের পরিবেশ বিঘ্নিত করেছেন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র করছে পলাতক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা। আদালতকে অসম্মান করে যে আচরণ তারা করেছেন তা বিচার বিভাগের জন্য অমর্যাদাকর। এর চেয়েও দুঃখজনক হলো, সাধারণ আইনজীবীদের হেনস্থা ও লাঞ্ছিত করেছেন। সুযোগসন্ধানীদের মাধ্যমে গোপনে ভিডিও ধারণ করে বেআইনি ভাবে মিডিয়ায় প্রকাশ করে আদালতের মর্যাদাহানি করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, আদালতে বিশৃঙ্খলা শুধু আদালত ও বিচারপতিদের অবমাননা নয়, এটি সমগ্র জাতির প্রতি অপমান। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট উদাত্ত আহ্বান জানাই।

এ জন্য তিন দফা দাবি উপস্থাপন করেন। প্রধান বিচারপতির বরাবর প্রথম দফা দাবিতে বলা হয়, আদালতের ভেতরে বিশৃঙ্খলাকারী দোসর আইনজীবী ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, গ্রেপ্তার ও বিচারের জন্য পদক্ষেপ নিতে আমরা বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির নিকট দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে, আদালতের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি বলে মনে করি।

বার কাউন্সিলের নিকট দ্বিতীয় দফা দাবিতে বলা হয়, উন্মুক্ত আদালতে মাননীয় বিচারপতিদের সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি আদালতের প্রতি অবহেলা এবং সহকর্মী বিজ্ঞ আইনজীবীদের গায়ে হাত তোলা পেশাগত অসদাচরণের শামিল। তাই বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নিকট আইনজীবীদের এই অপেশাদার আচরণের বিরুদ্ধে পেশাগত আচরণ ও শিষ্টাচার বিধিমালা অনুসারে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন গ্রহণ তথা সনদ বাতিলসহ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানাই।

সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নিকট শেষ দফা দাবিতে বলা হয়, আদালতের এজলাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। আমরা সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের কাছেও প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

ইএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন ও আদালত এর সর্বশেষ